দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন থেকেই মানুষের জনজীবন বিঘ্নিত হচ্ছে সেই সাথে সকল প্রকার কলকারখানা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সবকিছু বন্ধ রয়েছে এবং সেইসাথে গণপরিবহন গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন এমত অবস্থায় বেতনের মোটা একটি অংশ কাটা হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলটের এতে করে অস্বস্তিতে পড়েছে তারা এমন পরিস্থিতিতে পাইলটের বেতন কাটা যে প্রক্রিয়া নিয়ে এবার আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছেন পাইলটরা
বেতনের মোটা অংশ কাটা এবং স্টাফদের সঙ্গে বৈষম্য নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলটরা। এমন পরিস্থিতিতে পাইলটদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও ফ্লাইট পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি তাদের। বেতন বৈষম্য দূর না করলে কঠোর আন্দোলনেও যেতে পারেন পাইলটরা। এ নিয়ে আজ বুধবার ( ১৪ জুলাই)পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) নির্বাহী কমিটি জরুরি বৈঠকে বসছে। বৈঠক থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বাপা সূত্র এ কথা জানিয়েছে।
জানা যায়, গত সোমবার (১২ জুলাই) বাপা এক চিঠিতে বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে পাইলটরা চুক্তির বাইরে অতিরিক্ত কোনো ফ্লাইট পরিচালনা করবেন না।
পাইলটরা বলছেন, করোনাকালে পাইলটরা ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন পাইলট। তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন। তবু পাইলটদের বেতন কর্তন করা হয়েছে। বিমানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। অথচ তাঁদের বেতন কর্তন করা হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জারি করা এক আদেশে দেখা যায়, বিমানের বেতনক্রম ৬ থেকে তদূর্ধ্ব তথা সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন কর্তনের হার কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। আর যেসব পাইলট ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত চাকরি করছেন, তাঁদের কর্তনের হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আর যাঁরা ১০ বছরের বেশি সময় কাজ করছেন, তাঁদের কর্তনের হার ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১২ জুলাই) বাপার সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান বিমানকে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে তারা ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে বাইল্যাট্রাল অ্যাগ্রিমেন্টের বাইরে আর ফ্লাইট অপারেশন করবে না বলে জানান।
বাপার একটি সূত্র জানায়, পাইলটদের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলনে যাবেন তারা। এ নিয়ে বুধবার (১৪ জুলাই) পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) নির্বাহী কমিটি জরুরি বৈঠকে রয়েছে। বৈঠক থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থাটির পাইলটরা জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে ১৫৭ জন পাইলট কর্মরত রয়েছেন। ২০২০ সালের মে মাস থেকে তাদের বেতন ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দীন আহমেদের একটি অফিস আদেশে সংস্থাটির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। কিন্তু পাইলটদের বেতন কাটার বিষয়টি বহাল থাকে। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ হন তারা।
বিমান সূত্র জানায়, যদি পাইলটরা এগ্রিমেন্টের বাইরে ফ্লাইট না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, কাতারের দোহা, সৌদি আরবের দাম্মাম রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হতে পারে।
এবার আন্দোলনে নামছেন বিমানের পাইলট মূলত তাদের বেতন থেকে মোটা অংকের অর্থ কেটে নেওয়ার যে বিষয়টি সেটি নিয়েই এই আন্দোলন এমন পরিস্থিতিতে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম এবং তাদের ফ্লাইট পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা এবং যদি এই বৈষম্য দূর না করা হয় তাহলে আন্দোলনে যাবেন তারা এমন কথা জানিয়েছেন