বাংলাদেশ সরকার একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করছে। আন্তর্জাতিক নিয়মও ভঙ্গ করছে। এমনটাই দাবি করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, “প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন যে, ২৮শে অক্টোবরের রাজনৈতিক বিক্ষোভের সময় বাংলাদেশ পুলিশ অপ্রয়োজনীয় শক্তি প্রয়োগ করেছিল।”
ওই বিবৃতিতে সংস্থাটির উপ-এশিয়া পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন, অনেক বাংলাদেশি বলেছেন যে, অংশগ্রহণ ও ভোটদানকে নস্যাৎ করার জন্যই বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরকারের দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। এর ফলে তারা সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর আরো বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের জোর দিতে হবে। বিরোধী দলকে টার্গেট করা, হয়রানি করা ও কারারুদ্ধ করা সুষ্ঠু নির্বাচন হিসেবে গণ্য হতে পারে না।
এদিকে, নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সবার দায়িত্ব। সব রাজনৈতিক দল, ভোটার, সরকার, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের দায়িত্ব অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের। আর আমরা বাংলাদেশে সেটিই চাই, যা বাংলাদেশের জনগণ চায়। বাংলাদেশে যেন শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।
তিনি আরও বলেন, “আমরা জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমরা সহিংসতার ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিচ্ছি। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাতে আমরা যুক্ত আছি এবং আমরা আমাদের এই কাজ চালিয়ে যাব।