গত বছরের শেষের দিকে সাবেক মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড টেড কেনেডির ছেলে এবং দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্টের ভাতিজা এডওয়ার্ড টেড কেনেডি জুনিয়র সপরিবারে বাংলাদেশ সফরে আসেন। তাদের সপ্তাহব্যাপী সফরে সরকারের পক্ষ থেকে আতিথেয়তার কোনো কমতি ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করেন তারা।
দেশে ফেরার পর, তার ঢাকা সফরের কথা মনে করিয়ে দিয়ে, কেনেডি জুনিয়র টুইটারে দুটি পোস্ট করেছিলেন (বর্তমানে এক্স) যার একটিতে তিনি লিখেছেন নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে তার পরিবারের একটি ছবি শেয়ার করেছেন তার ছবি শেয়ার করে তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে লিখেছিলেনঃ বাংলাদেশ ভ্রমণের সময়, আমার পরিবার এবং আমি অনুপ্রেরণাদায়ীর সাথে দেখা করে সম্মানিত বোধ করছি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষুদ্রঋণের জনক, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষক। তিনি রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস-এর শক্তিশালী অংশীদারই কেবল নন, লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করার জন্য ২০০৬ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারও পেয়েছেন।
একটি পৃথক টুইটে, সাবেক কানেকটিকাট ইউএস সিনেট সদস্য টেড কেনেডি জুনিয়র বিশিষ্ট মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানের সাথে নিজের একটি ছবি শেয়ার করে, লিখেছেন: আমার পরিবারের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সময়, আদিলুর রহমান খানের সাথে দেখা করতে পেরে আমরা বোধ করছি। তিনি সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিতে অক্লান্তভাবে কাজ করছেন, তিনি (মানবাধিকার সংগঠন) অধিকারের সেক্রেটারি।
সেই টুইটে আদিলু বলেছিলেন যে ২০১৪ সালে, তাঁর অন্য চাচা, সাবেক মার্কিন সিনেটর রবার্ট এফ. কেনেডির স্মরণে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষায় অদম্য সাহস দেখানো মানুষদের দেওয়া ‘রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিলেন সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন কেনেডি জুনিয়র।
কিন্তু, টেড কেনেডি জুনিয়রের বাংলাদেশ সফরের এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে, আদিলুর এবং অধিকার পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানকে (বৃহস্পতিবার) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। এই রায়ের দুই দিন পর কেনেডির ছেলে আদিলুর ও এলানের মুক্তি দাবি করেন। এক্স-এ আদিলুরের সাথে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি (শনিবার) লিখেছেন: আমি বাংলাদেশে থাকাকালীন মানবাধিকার চ্যাম্পিয়ন আদিলুর খানের সাথে দেখা করেছি। আমি আত”ঙ্কিত যে তিনি যে কাজ করেছেন তার প্রতিশোধ হিসেবে তিনি এখন নাসির উদ্দিন এলানের সাথে বন্দী।
উল্লেখযোগ্যভাবে, টেড কেনেডি জুনিয়রও সেই পোস্টের সাথে “আদিলুর ও এলানকে মুক্ত করো” হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছিলেন।