সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের অবসর গ্রহণের তিন বছর পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ার বিধান কেন বেআইনি নয় মর্মে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তারা অবসর গ্রহণের তিন বছরের আগে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
সামরিক ও বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরের তিন বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ৭ নভেম্বর জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি অবসরের তিন বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সামরিক ও বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বিধান কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মোঃ বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম কামালের করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরের তিন বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বিধান চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি রিটটি দায়ের করা হয়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ এর ধারা ১২ (১) (চ) নির্বাচনের জন্য সরকারী কর্মচারীদের অযোগ্যতা সম্পর্কিত বলা হয়েছে যে, যিনি প্রজাতন্ত্র বা সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষ বা অধিদপ্তরের কোন চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসর নিয়েছেন প্রতিরক্ষা এবং এ ধরনের পদত্যাগ বা অবসরের তিন বছর পর যদি বছর পার না হয়, তাহলে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না।
এই বিধানকে চ্যালেঞ্জ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শামীম কামাল হাইকোর্টে রিট করেন। এ ছাড়া আরও অনেক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত বিভিন্ন সময়ে রিটের শুনানি নিয়ে বিধি জারি করে। একসঙ্গে সব নিয়মের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়।