সম্প্রতি রহিমা বেগম নামে এক নারী নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবার থানায় মামলা করেন। পরে রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান সংবাদ সন্মেলনে তার মাকে পাওয়ার জন্য কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় আসে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তের মাধ্যমে অবশেষে তাকে উদ্ধার করেন ফরিদপুর থেকে। বেরিয়ে আসে নিখোঁজ হওয়ার বিভিন্ন তথ্য। আদালতে যা বললেন সেই মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগম।
রহিমা বেগমকে জমি বিরোধের জের ধরে অপহরণ করা হয়। অপহরণ মামলায় যাদের নাম রয়েছে তারাই মূলত অপহরণ করেছে বলে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। এ সময় তাকে মামলার বাদী ও তার ছোট মেয়ে আদরি খাতুনের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বাদীর আইনজীবী আফরুজ্জামান টুটুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে একই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে খুলনার চিপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. আল আমিন তার জবানবন্দি নেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী আফরুজ্জামান টুটুল জানান, ভুক্তভোগী রহিমা বেগম আদালতে তার অপহরণের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, যাদের সঙ্গে জমি নিয়ে তার বিরোধ ছিল, তারাই তাকে অপহরণ করে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ফরিদপুরে আসেন। মামলায় আসামিদের মধ্যে অপহরণের সঙ্গে জড়িত রয়েছে ৪ থেকে ৫ জন।
তিনি আরও জানান, রোববার সন্ধ্যায় জবানবন্দি নেওয়ার পর বিচারক সারোয়ার আহমেদ তাকে মামলার বাদী আদরী খাতুনের জিম্মায় তাকে হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগমকে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। গত ২৭ আগস্ট নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।
প্রসঙ্গত, তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটির সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে আদালতে তথ্য দেন তিনি। কিভাবে তিনি ফরিদপুরে এলেন সে বিষয়েও জানান নিখোঁজ হওয়া রহিমা বেগম।