সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্কে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়চ্ছে তরুণ-তরুণীরা। যার ফলে বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থায় অপরাধমূলক ঘটনা সংঘঠিত হচ্ছে। তার ভুগান্তীর শিকার হচ্ছে তাদের পরিবার গুলো। তরুণ-তরুণীর সম্পর্কে জড়ানোর কারনে তাদের পরিবার গুলোর মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয় এতে শেষ পর্যন্ত আইনের আশ্রয় নিয়ে থাকে তারা। প্রেমিক বিয়ের করায় আত্মহননের ঘটনা ঘটালো এবার রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
রংপুর মহানগরীর কামারের মোড় এলাকার একটি ছাত্রী নিবাস থেকে রোকেয়া শ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শাহনাজ নামের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিকের বিয়ের সংবাদে শকড হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই শিক্ষার্থী।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) ইজার জানান, শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে কামার মোড় এলাকার আজিজুল হককে ছাত্রীনিবাসের একটি কক্ষে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরাল বডি, মেস মালিক সমিতির সভাপতিসহ অন্যদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে শাহনাজের ম/রদেহ নামানো হয়। বিষয়টি শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের জানানো হয়েছে। তারা এলে বাকি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ ঘাগোয়া গ্রামে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেছেন যে তারা এখনও পর্যন্ত ওই ঘরে কোনও সুইসাইড নোট পাননি। তবে বান্ধবীর পরিবার ও মেসের অন্যান্য ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, শাহনাজ গ্রামের বাড়ির দিকে একজনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকের বিয়ে করার খবর পেয়ে শকড় হয়ে সে আত্মহ/ত্যার পথ বেছে নেয়। এ ঘটনায় আরও তদন্ত করা হচ্ছে এবং তারপরই পুরো বিষয়টি জানা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহ/ত্যার খবর পেয়ে প্রক্টর বডি নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে ম/রদেহটি নামিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশকে ঘটনার সব আনুষ্ঠানিকতা পূরণ করে লা/শ হস্তান্তরের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীর নাম শাহনাজ আক্তার মুন্নি। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সাইন্স বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
ছাত্রাবাসে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার বিকাল ৩টা থেকে শাহনাজের রুমের দরজা বন্ধ ছিল। বিকেল হয়ে গেলেও শাহনাজ দরজা না খোলে রাত সাড়ে ৮টা থেকে তার বান্ধবীরা দরজায় ধাক্কা দেয়। কিন্তু সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পান শাহনাজ অরুনা পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলছে।
তাদের প্রিয় সহপাঠীকে এভাবে ঝুলতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন দুই শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে পুলিশ এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও বিভাগীয় প্রধানের উপস্থিতিতে ওই শিক্ষার্থীর লা/শ ফ্যান থেকে নামায়।
প্রসঙ্গত, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে ওই ছাত্রী বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে এখনো পুলিশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি বলে জানা গেছে।