Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Exclusive / এবার আটকে রাখার গোপন স্থানগুলোর যথাযথ তালিকা চাইল জাতিসংঘ (ভিডিও)

এবার আটকে রাখার গোপন স্থানগুলোর যথাযথ তালিকা চাইল জাতিসংঘ (ভিডিও)

সুইজারল্যান্ডে জাতিসংঘের জেনেভা অফিসে ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর) বা সার্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা চলছে। আর এতে চতুর্থবারের মতো অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। UPR হল প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বিশ্বের সকল দেশের মানবাধিকার কাঠামোর পর্যালোচনা।

২০১৮ সালের ১৪ মে সর্বশেষ ইউপিআরে ২৫১টি সুপারিশের মধ্যে ১৭৮টি সুপারিশকে চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে কতগুলো পরামর্শ আমলে নিয়েছে বাংলাদেশ, এ নিয়ে আজ (১৩ নভেম্বর) জেনেভায় বসছে বাংলাদেশ, মুখোমুখি হবে সওয়াল জবাবের।

বাংলাদেশ ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বিচারবহির্ভূত হ”ত্যাকাণ্ড এবং বলপূর্বক গুমের বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন সংস্থাটি। আর তাই, ভুক্তভোগীদের তুলে নিয়ে গোপনে আটকে রাখা জায়গাগুলোর তালিকা প্রকাশের জন্য সরকারকে সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী শক্তির অত্যধিক ব্যবহার কমানোর সুপারিশ করা হয়।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের মন্ত্রীরা নি”র্যাতনের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেন। সংগঠনটি এসব ঘটনার নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্ত চায়। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা খাতে সংস্কার করতে বলেছে জাতিসংঘ।

এদিকে, ইউপিআর-এর জন্য জমা দেওয়া একটি প্রতিবেদনে, বর্তমান সরকার গুমবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি, ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স অর ইনভলান্টারি ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং ২০২২ ও ’২৩ সালে দুবার কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ৭৬ জনের একটি তালিকা নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এদের মধ্যে ৯ জনকে পাওয়া গেছে এবং তা কমিটিকে জানানো হয়েছে; দুজন বিদেশি, যাদের সম্পর্কে কোনো বিচারিক বা পুলিশ রেকর্ড পাওয়া যায়নি, ২৮ জন খুনসহ বিভিন্ন অপরাধের আসামি এবং বিচার এড়াতে পালিয়ে আছে। তালিকার ১০ জনের ক্ষেত্রে তাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন কোনো সহযোগিতা করেনি এবং অবশিষ্ট ২৭ জনের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

সরকার আরও জানিয়েছে যে ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে দেশে ১ লাখ ৩০ হাজার ২২২ জন গুম হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ১ লাখ ২৫ হাজার ১২৯ জনকে উদ্ধার করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে গুম ও অপহরণের অভিযোগের বিষয়ে প্রতিবেদনে ২০১৮ সালের আগে নারায়ণগঞ্জে সাত খু”নের ঘটনায় কয়েকজন র‌্যাব কর্মকর্তার বিচারের কথা বলা হয়েছে।

আটকে রেখে নির্যা”তন ও অমানবিক আচরণের মাত্র ২৪টি ঘটনা সরকারিভাবে এ পর্যন্ত রিপোর্ট করা হয়েছে। ২০২১ সালে, একটি অধস্তন আদালতের দুই বিচারককে রিমান্ডে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অমান্য করার জন্য তিরস্কার করা হয়েছিল। তবে বিপুল সংখ্যক গ্রেপ্তার ও দীর্ঘ মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নি”র্যাতনের অভিযোগের কোনো তথ্য বা ব্যাখ্যা নেই।

About bisso Jit

Check Also

চুলের মুঠি ধরে নারী চিকিৎসককে রোগীর মারধর (ভিডিও সহ)

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *