জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের প্রচারনা এবং নেতাকর্মীদের ব্যস্ততা। এই নির্বাচনের দু’জন হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন আ.লীগ থেকে মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ এবং বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি বিএনপি সভানেত্রী খালেদা জিয়ার একজন উপদেষ্টাও। নির্বাচনে এই দুই প্রার্থী ইতিমধ্যে একে অন্যের দিকে নানা বিষয়ে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে। তবে এবার সাবেক মেয়র আইভীর পাশে দাঁড়িয়েছেন এক সময়ের আলোচনায় উঠে আসা নরঘা’/তক হিসেবে পরিচিত এবং ৭ জনকে খুনের অভিযোগে ফাঁ’/সির সাজাপ্রাপ্ত আ’সামি নূর হোসেনের ভাই নুরুদ্দিনকে। এরও আগে আইভীর সমর্থনে দেখা গেছে ঐ আলোচিত নরঘা’/তকের ভাইয়ের ছেলে শাহজালাল বাদলকে।
রোববার (২ জানুয়ারি) বিকালে ৪নং ওয়ার্ডের বাগানবাড়ি এলাকায় সেলিনা হায়াৎ আইভীকে ফুলের নৌকা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নুর হোসেনের ভাই নুরুদ্দিন ও ক্যাডার কাইয়ুম। এরআগে শনিবার (১ জানুয়ারি) সিদ্ধিগঞ্জের বটতলা এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী শাহজালাল বাদলের বাড়ির সামনে আয়োজিত এক নির্বাচনী সভায়মেয়র প্রার্থী আইভী ও বাদলকে পাশাপাশি দেখা গেছে।
জানা যায়, ৭ খুনের আলোচিতি আসামি নূর হোসেন গ্রেফতারের পর থেকেই তার সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন নুর হোসেনের ভাই নুরুদ্দিন ও ভাতিজা শাহজালাল বাদল। নূর হোসেনের সন্ত্রা’/সী বাহিনী এখন নুরুদ্দিন ও শাহজালাল বাদলের নিয়ন্ত্রণে। আইভীকে বিগত দিনে কখনও নুরুদ্দিন ও শাহজালাল বাদলের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠ হতে দেখা যায়নি। তবে এবার নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে নরঘা’/তকের পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন তিনি।
এদিকে আইভীকে যারা পছন্দ করেন তারাও বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। তারাও কিছুটা হতবাক হয়েছেন এবং বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। কারণ নগরবাসী আইভীকে স’ন্ত্রা/সের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবেই জানে। সেই আইভীকে নরঘা’/তকের ভাই ও ভাতিজার পাশে তারা মেনে নিতে পারেছেন না।
আর এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন আইভী বিরোধী বলয় ও সাধারণ ভোটাররা। স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক এটিএম কামাল জানান, সঙ্গে থাকলে ভালো, আর না থাকলে উনি স/ন্ত্রা’সী এগুলো- ওই দলের সবারই চিরাচরিত ব্যাপার। তাদের অন্তরে, আর মুখের কথা দুই রকম। জনগণ সব বোঝে। এবার তাদের রায় দেখিয়ে দেবে স’ন্ত্রা/সীদের সঙ্গে যারা, তাদের সঙ্গে নগরবাসী নেই। স/ন্ত্রা’সবিরোধী বক্তব্য দিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করে এখন স’ন্ত্রা/সীদের দিয়েই নির্বাচন করাতে তারা মাঠে নেমেছেন।
প্রসঙ্গত: নুর হোসেনের পালিয়ে থাকা অনেক স’/ন্ত্রা’সী কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত থাকা ব্যক্তিরা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূনরায় এলাকায় ফিরে আসছে এমনটি জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয়রা। নুরুদ্দিনের পক্ষ নিয়ে তারা এই নির্বাচনে সাধারন ভোটার যারা তাদেরকে বিভিন্নভাবে হু’মকি-ধামকি দিতে শুরু করেছেন এমনটাই জানা গেছে। নুরুউদ্দিন প্রত্যক্ষভাবে তার শক্তি হিসেবে থাকা ওই সব স’/ন্ত্রাসীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে শুরু করেছে। যেটা অনেক খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে এমনটি জানাচ্ছে এলাকাবাসী। তারা মনে করেন আইনশৃংখলাবাহিনী সক্রিয় হলে তাদের বিষয়ে জানতে পারবে।
খবর দৈনিক ইনকিলাবের।