নির্বাচন কমিশনের খসড়া ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে হতে ১৫ মাসের মতো বাকি রয়েছে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এবং ইতিমধ্যে অনেক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এবার নির্বাচনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা কেমন থাকবে সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো দলের হয়ে কাজ করা যাবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনে কখনোই পক্ষপাতমূলক আচরণ করা যাবে না, শতভাগ নিরপেক্ষ হতে হবে। দলীয় অনুভূতি প্রকাশের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান সিইসি।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে জেলা পরিষদ ও অন্যান্য নির্বাচন নিয়ে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে সিইসি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কোনো নেতা-কর্মী যাতে হয়রা”নির শিকার না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।
সিইসি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএম ইস্যুতেও রয়েছে বিতর্ক। আমরা শুধু বিশ্বাস করি না, আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনী স”হিং’/সতা এবং কারচুপি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। ১৫০টি আসনে, প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, আমরা ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে প্রয়োজনে দেড় শতাধিক আসনে ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি থাকবে। সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী ও পুলিশ প্রশাসনকেও প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই দিনে একই সময়ে ৪২ হাজার থেকে ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে সম্পন্ন করতে হবে। কাজটি সহজ না হলেও অসম্ভব নয় এবং সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সিইসি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৩ সালের শেষে অর্থাৎ ডিসেম্বরে কিংবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে অর্থাৎ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। তবে আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে জনগণকে সম্পৃক্ত হতে হবে। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা জনসাধারনের নিকট থেকে কাম্য নয়।