সাম্প্রতিক সময়ে খুলনায় মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগম (৫২) নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সৃষ্টি হয় আলোচনা। দেশের গনমাধ্যমগুলোতে ফলাও করে এই ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত হয় সংবাদ। রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান মায়ের নিখোঁজ হওয়ার বিষয় নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দেন এবং এরপর অপহরণের অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেন।
রহিমা বেগমের নিখোঁজের ৩০ দিন পর ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে নাটকীয়ভাবে উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগম অবশেষে মুখ খুললেন। উদ্ধারের পর রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) জানান, তাকে চারজন অপহরণ করেছে। এরমধ্যে তিনি মহিউদ্দিন ও তার ভাই গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বাকি দুজনকে তিনি চিনতে পারেননি।
উদ্ধারের প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর রোববার দুপুর ১টার দিকে রহিমা বেগমকে তার সন্তানদের মুখোমুখি করা হয়। তারপর তিনি মুখ খোলেন। চারজন দুর্বৃত্ত তার মুখ বেঁধে বাড়ির নিচ থেকে অপহরণ করে বলে দাবি করেন তিনি।
পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব বাংলাদেশ (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, মরিয়ম বেগম বলেছেন, তাকে চারজন অপহরণ করেছে। এরমধ্যে তিনি মহিউদ্দিন ও তার ভাই গোলাম কিবরিয়াকে চিনতে পেরেছেন। বাকি দুজনকে তিনি চিনতে পারেননি।
তিনি দাবি করেন, অপহরণের পর রহিমা বেগমকে অজ্ঞাত স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয়। জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় কিবরিয়া ও মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন তার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্প স্বাক্ষর নিয়ে তাকে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেয়। তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি মনি নামের এক নারীর কাছ থেকে এক হাজার টাকা নেন।
সৈয়দ মুশফিকুর রহমান যিনি পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, রহিমা বেগম তার বক্তব্যে যেসব তথ্য দিয়েছেন আমরা সেগুলো খতিয়ে দেখতে শুরু করেছি। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গতকাল দুপুরের দিকে তাকিয়ে মহানগর হাকিম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় সবকিছু আইন মোতাবেক সম্পন্ন করা হবে।