এবার অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর দূর্বলতা নিয়ে গোপন তথ্য প্রকাশ করলেন কামরুল ইসলাম

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল যাতে আর কোনো ধরনের ভোট কারচুপি না ঘটাতে পারে সেজন্য এই সরকারকে হঠাতে মাঠে নামছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তারা জোট গঠনের মাধ্যমে বর্তমান ক্ষমতাসীন আ.লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। ক্ষমতা থেকে সরে গিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে দলগুলো। দেশের নতুন গঠিত রাজনৈতিক দল গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক আ স ম আবদুর রব এবার হুঁশিয়ারি দিলেন সরকারকে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ভোট দিয়ে নয়, গণবি/স্ফো”রণ ঘটিয়ে সরকার পতন করতে হবে। এমন হু”শিয়ারী দিয়েছেন নতুন গঠিত রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক আ স ম আবদুর রব। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেছেন, ভোটযুদ্ধে বা জনগণের কাছে এই জোট কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের দাবিতে সাতটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে নতুন রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। কিন্তু এই নতুন রাজনৈতিক জোট জনমনে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে? কি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবে? সামনে তাদের ভূমিকা কী হবে? উত্তর পাওয়া গেল, আবদুর রবের কথায়। তিনি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে জনগণের সরকার গঠন করতে চায়। আর এ য’দ্ধে ভোটের আগে বিএনপিসহ আরও কিছু রাজনৈতিক দল যুক্ত হওয়ার আভাসও দিলেন তিনি।

আ স ম আবদুর রব বলেন, যা প্রয়োজন হবে এই সরকারকে হঠাতে তাই করতে হবে। নির্বাচন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে; আর এই নির্বাচনের আগে নির্বাচনের আগে এই সরকারকে যেতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সব আন্দোলন হবে এবং তাদেরকে চলে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ উত্তেজিত ও ক্ষু”ব্ধ। তারা যদি আন্দোলন শুরু করে তাহলে তাদের (বর্তমান সরকার) পালানোর পথ থাকবে না। তবে নতুন এ জোট নিয়ে মোটেই ভাবছে না আওয়ামী লীগ। তারা বলছেন, কর্মীবিহীন জোটের আন্দোলন নিয়ে তারা চিন্তিত নন।

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘অল জিরো প্লাস জিরো; জিরো প্লাস জিরো যোগ করলে জিরোই হবে। তারা কতটা আন্দোলন করবে, তাদের আন্দোলন কতটা সফল হবে তা সময়ই বলবে। ওইসব দলের আন্দোলনের হুম”কিকে আমরা কোনো সময় খুব বেশি গুরুত্ব দেই না।’

তবে যারা রাজনৈতিক বিশ্লেষক তারা বলেছেন, নির্বাচনের আগে জোট গঠন নতুন কিছু নয়। গণতন্ত্র মঞ্চ নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বিএনপিকে আমরা ধরার মধ্যে নিলাম, তা ছাড়া তাদের সঙ্গে থাকা অন্য দলগুলো ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী দল। আমি মনে করি না যে এই জোট সরকার পরিবর্তনে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলতে পারবে।

জোটের নেতারা রাজধানীর বাইরে পরিচিত না হওয়ায় গণতন্ত্রের প্লাটফর্ম বেশিদূর যেতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তবে এবার বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল একত্র হয়ে সরকারেরকে হঠাতে মাঠে নামার পরিকল্পনা করে জোট গঠন করছে। দলগুলো একত্র হয়ে মাঠে নামলে সরকারকে বাধ্য হয়ে ক্ষমতা ছাড়তে হবে, এমনটাই মনে করছেন দলগুলোর নেতারা। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছে ভিন্ন কথা।