‘এইবারের পর আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা ভালো হইবো না। অন্তত আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য।’ এমন মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল। ইতিমধ্যে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
গত রোববার রাতে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহারের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সজল এ মন্তব্য করেন। মন্তব্যের পরপরই খোকন সাহা তাকে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতির কথা মনে করিয়ে দেন। সজল বলেন, সত্যি কথা বললে শাস্তি মেনে নেবেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, সাবেক জেলা জজ আদালতের পিপি প্রমুখ। . ওয়াজেদ আলী খোকন প্রমুখ।
সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল আলম সজল বলেন, ‘রাজনীতির এমন অবস্থা হলে আমাদের কী করা উচিত? আমি কিছু বললে নেত্রীকে নিয়ে খুশি হব তা বুঝতে ১৫ বছর লেগেছে। ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে আমি মনে করি এর পর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের জন্য ভালো হবে না। এখানে কি মিডিয়া আছে? যাই হোক, সত্যি কথা বললে যাও।’
নাজমুল আলম সজল আরও বলেন, ‘কারণ সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়ছে। নেতারা ভালো আর কর্মীরাও না। আমরা মুজিব আদর্শের সংগঠন পাচ্ছি না। এবং ভবিষ্যতেও না, আমি মনে করি। তাই কখনো কখনো সংগঠনের জন্য বিরোধী দল থাকা জরুরি।
সজল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাফায়েত আলম সানীর বড় ভাই। ওই বৈঠকে উপস্থিত সবাই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অনুসারী বলে পরিচিত।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, কীসের জন্য তিনি একথা বলেছেন বুঝতে পারছি না। ওরেই সঠিকভাবে জিজ্ঞাসা করা উচিত কেন তিনি এটি বলেছেন এবং তিনি কী বোঝাতে চেয়েছিলেন। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। তাই কি মন্তব্য করব বুঝতে পারছি না।
তবে একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা বলেন, ‘হতাশা থেকে সজল এই মন্তব্য করেছেন। তবে ছেলে হিসেবে সে ভালো। দলের জন্য কাজ করে। অনেকের মধ্যে কিছু হতাশা আছে? সেই হতাশা থেকেই এমন কথা বলেছেন তিনি।