চলমান বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার জয়ী হয়েছেন দুজন, যাদের একজন জার্মান নাগরিক এবং অপরজন মার্কিন নাগরিক। বেনিয়ামিন লিস্ট নামের জার্মান বিজ্ঞানী এবং ডেভিড ম্যাকমিলান নামের মার্কিন বিজ্ঞানী তারা একই ধরনের গবেষনা করেন। গোরান হ্যানসন যিনি রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের মহাসচিব হিসেবে রয়েছেন তিনি আজ (বুধবার) অর্থাৎ ৬ অক্টোবর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে এই দুই বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন। পুরস্কার হিসাবে, তারা প্রত্যেকে ৫০ লক্ষ ক্রোনার সমমুল্যের অর্থ পাবেন।
জিনোম এডিটিং পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য এই দুই মহিলা বিজ্ঞানী যৌথভাবে ২০২০ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এই পুরস্কার জিতেছেন ফরাসি বিজ্ঞানী ইমানুয়েল কার্পেন্টার এবং আমেরিকান বিজ্ঞানী জেনিফার এ দৌদানা। তাদের আগে মাত্র পাঁচজন নারী রসায়নে নোবেল পেয়েছেন। তারা হলেন, মেরি কুরি (১৯১১), জ্যালিয়ট কুরি (১৯৩৫), ডরোথি ক্রফউট হকিং (১৯৬৪), অ্যাডা আ ইয়োনাথ (২০০৯) এবং এইচ আর্নল্ড (২০১৮)।
২০১৯ সালে লিথিয়াম ব্যাটারি নিয়ে গবেষণা করে রসায়নে নোবেল পেয়েছিলেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের জন বি গুডএনাফ, বিংহ্যামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এম স্ট্যানলি এবং মেইজো বিশ্ববিদ্যালয়ের আকিরা ইয়োশিনো। ২০১৮ সালে রসায়নশাস্ত্রে অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার জেতেন আমেরিকার বিজ্ঞানী ফ্রান্সেস এইচ আরনল্ড, জর্জ পি স্মিথ এবং যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানী স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার।
উল্লেখ্য, ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান।
১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃ’/ত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধান করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ অ্যাকাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।
১৯৬৮ সালে নোবেল পুরষ্কারের তালিকাতে অর্থনীতি বিষয়টি যুক্ত করা হয়। পুরস্কার ঘোষণা দেওয়ার আগেই আলফ্রেড বার্নার্ড নোবেল চলে যান না ফেরার দেশে। দেশটির আইনসভার অনুমোদন লাভের পর তার সম্পদের উইল মোতাবেকই নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত করা হয়। তারা আলফ্রেড নোবেল এর রেখে যাওয় বিপুল পরিমান অর্থ এবং নোবেল পুরস্কারের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য দায়িত্ব পান। বিজয়ী নির্বাচন করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন সুইডিশ একাডেমি এবং নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির মধ্যে ভাগ করা হয়।