এ কে আজাদ হলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি। তিনি তার এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হাবর পরে সততা ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী হা-মীম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ছাড়া সরকারের হাতে কোনো বিকল্প ছিল না।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ মনে করেন, জ্বালানির দাম বাড়ানো ছাড়া সরকারের আর কোনো উপায় নেই। তিনি বলেন, সরকার দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দিয়ে আসছে। ফলে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। তবে সরকারের উচিত শিল্প খাত বিশেষ করে রপ্তানিমুখী শিল্প খাত যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সব রপ্তানি খাতে তেল ও বিদ্যুতের সরবরাহ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এই শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড কমার্স অ্যাসোসিয়েশন-এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদ। তিনি বলেন, ইউক্রেন সংকটের কারণে সারা বিশ্বে জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সরকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিদ্যুতের রেশনিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষি ও শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সরকার এ পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছে। আমি মনে করি প্রত্যেকেরই আবাসিক গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধা মেনে নেওয়া উচিত এবং মিতব্যয়ী হওয়া উচিত। এই ব্যবসায়ী নেতা আরও বলেন, আমি মনে করি শিল্প ও সেবা খাতে সরকারের আলাদা নজর রয়েছে। বিদ্যুতের রেশনিংয়ে, শিল্প এলাকা বিবেচনা করে লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়, তবে কিছু শিল্প অভ্যন্তরীণ এলাকায় থেকে যায়, যার জন্য এসব কারখানায় লোডশেডিং করা হয়। এটি যাতে না হয় সেদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের দাম এভাবে হঠাৎ করেই বেড়ে যাবে এতটা মানুষ যেটা কখনো ধারণাও করতে পারেনি। দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তেল পাম্পগুলোতে নানারকম মারামারি ও অরাজকতার মত ঘটনা ঘটেছে। তবে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন সরকার।