রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে প্রাথম দিকে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। একপর্যায়ে দ্রব্যমূল্যের দাম মোটামুটি শিথিল অবস্থায় পৌঁছালে, এরপরে সংকট দেখা দেয় বিদ্যুতের। লোডশেডিং নিয়ে এখনো পর্যন্ত সারা দেশের লোকজন অসনীয় যন্ত্রণায় ভুগছে। তার রেশ না কাটতেই এরই মধ্যে শুরু হয়েছে তেলের দাম বৃদ্ধি। এসকল কারণ নিয়ে এবার গণমাধ্যমে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য বেশ আলোচনায় আসে।
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না থামলে আমরা নিঃশেষ হয়ে যাব বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। রোববার (৭ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট শিল্পকলা একাডেমি হলে এক কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ভারত, চীন বা যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বড় অর্থনীতি রয়েছে। তাদের ধৈর্য আছে। আমাদের অর্থনীতি ছোট। মাত্র ৪০ বিলিয়ন ডলার। এই টাকা ফুরিয়ে গেলে ওষুধ পাবে কোথায়? প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, কোথায় পাবেন? তাই দেশকে বাঁচাতে এই পদক্ষেপ (জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি) নেওয়া হয়েছে।
সারের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা সারের দাম বাড়াইনি। ইউরিয়া কম ব্যবহারের জন্য ডিএপি ১৬ টাকা, ডিএপিতে 18% ইউরিয়া রয়েছে। তাতেও আমনকে খুব একটা প্রভাবিত করবে না। বৃষ্টি হলে আমন উৎপাদন ঠিক হবে, সবজির ক্ষতি হবে না। সবজি বহনকারী ট্রাকের ভাড়া বাড়বে। তবে উৎপাদনে তেমন প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না। বোরো নিয়ে আমরা চিন্তিত।
সারা দেশে এমন পরিস্থিতির জন্য বর্তমান সরকারকে দায়ী করছে বিরোধী দলের অনেক নেতাবৃন্দরা। সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ গড়ে তুলছে তারা। বর্তমান সরকারকে পদত্যাগের দাবি নিয়ে তাদের এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছে বিপুল সংখ্যক লোক। তাদের দাবি এ সকল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে হবে।