ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা জুটি শরিফুল রাজ ও পরীমনি আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে এবারের গল্পটি আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের শেষ পর্যায় নিয়ে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠান পরীমনি।
এদিকে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে নিজের ফেসবুকে রাজের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন অভিনেত্রী। কিন্তু সেই পোস্ট বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কিছুক্ষণ পর পরী মুছে দেয়।
পরীর পোস্টটি স্পষ্টভাবে পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো- ‘‘ধরেন এ কাজটা আমি যদি করতাম। একজনকে ভাই পরিচয় দিয়ে তার বাসায় যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে মাসের পর মাস পার করে দিতাম— কী বলতেন আমাকে তখন? আজ আমাকে রাজ এবং তার পাতানো বোন মিলে গায়ে হাত তুলেছে তার জবাব মিডিয়া দিতে পারবেন তো?’
তিনি আরো বলেন, “রাজা কার সাথে থাকেন? চিনির মমি নাকি অনৈতিক ব্যবসার আংটি? কী চলছে মহানগর প্রকল্পে তাদের বাড়ি বলে অপকর্ম? প্রশাসন, মিডিয়া এখন খুঁজে বের করছে কে! অনেক কিছু বলার বাকি! এত চুপ থাকা যায় না।’
চলতি বছরের শুরুতেও পরীমনিকে মারধরের অভিযোগ করেছিলেন রাজ। এ সময় ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। রক্তাক্ত বিছানার ছবিও পোস্ট করেন তিনি। এ ছাড়া পরী ওই পোস্টে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি আর রাজের সঙ্গে থাকতে চান না। এরপর সব কিছু ভুলে এক হয়ে যান এই জুটি।
‘গুনিন’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে পরীমনি ও শরিফুল রাজের সম্পর্ক হয়। এরপর প্রেম পর্ব শেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর পরীমনি ও শরিফুল রাজের বিয়ে হয়। ২০২২ সালে এই দম্পতির সংসারে একটি ছেলে আসে।
২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে পরীমনির। তবে ‘রানা প্লাজা’ (২০১৫) ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। পরীমনির উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে মা, গুণ, মুক্তা, বিশ্বসুন্দরী, স্বপ্নজাল, আমার প্রেম আমার প্রিয়া, রক্ত, মহুয়া সুন্দরী প্রভৃতি।