Friday , November 15 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এত কিছু ভাবার কারণ নেই, মিথ্যা বলে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়: আব্বাস

এত কিছু ভাবার কারণ নেই, মিথ্যা বলে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়: আব্বাস

দেশের রাজনীতিতে শক্তিশালী দুই প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। এই দুটি দল প্রায় সময় একে আন্যের সঙ্গে নানা ধরনের তর্ক-বির্তকে লিপ্ত হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক মাঠে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বিএনপি দল। এবং এই দলটিকে নানা ভাবে চাপে রেখেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দল। তবে সকল সংকট পরিস্তিতি মোকাবিলায় নিরসন ভাবে কাজ করছে বিএনপি দল।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। গণমানুষের দল, জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত। খালেদা জিয়ার লালন করা দল। বিএনপিকে ধ্বংস করার ক্ষমতা দেশি বা আন্তর্জাতিক শক্তির নেই। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার আন্দোলনের অংশ হিসেবে এক আলোচনা সভা, প্রতিবাদী সংগীত ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘একজন–দুজন নয়। বেশ কিছু দণ্ডিত আসামিকে মুক্তি দিয়ে, গোপনে বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। তারা বাতাস খেয়ে বেড়াচ্ছে। আমার নেত্রী নির্দোষ, বিনা অপরাধে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব নিয়ে নেত্রীকে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের ধারণা নেত্রীকে আটকে রাখলে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে। যেমন তারা ধারণা করেছিল জিয়াউর রহমানকে মেরে ফেললেই বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে। এত কিছু ভাবার কারণ নেই যে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া না থাকলে বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমার দলের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে যখন আমরা কথা বলি বুক শক্ত করে, মুখ খুলে কথা বলতে পারি। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু আজকে আওয়ামী লীগ তাদের নেতার কথা বলতে যায়। একগাদা মিথ্যা কথা বলে তারপর নেতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। তারপরও নেতা প্রতিষ্ঠিত হয় না।’ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা যা ভাবেন তাই বলেন। সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে তা গান, নাটক, কবিতা, সিনেমার মাধ্যমে মতপ্রকাশ করতে হবে। বিএনপির একটা নিজস্ব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিএনপি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দূর্নীতি মামলায় তার ১০ বছরের সাজা হয়েছে। তিনি এই সাজা ভোগ করছেন। তবে বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। এবং রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

About

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *