শেষ হচ্ছে ২০২২ আর এই আর সেই সাথে আসছে ২০২৩। আর এই কারনে প্রতি বছরের মত এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বছরের নতুন বই। আজ শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এত কাজ করার পরেও কিছু লোকের মন ভরে না। তাতেও বলবে আমরা নাকি কিছুই করি নাই। কিছুই করি নাই শ্রেণিটা চোখ থাকতেও দেখে না।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এই করোনা, নানা ঝামেলা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ… এখন সব জিনিসের দাম বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী কষ্টের মধ্যেও আমরা শিশুদের ভুলিনি। অন্যদিকে আমরা তাদের বই ছাপার খরচ বাঁচাচ্ছি, বই ছাপার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছি। কম্পিউটার শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তি শিক্ষা। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে, কেন আমাদের সন্তানরা পিছিয়ে থাকবে!
প্রায় 98 শতাংশ শিক্ষার্থী এখন স্কুলে যায়, তিনি বলেন, অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা এসেছে যে তারা ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা দেবেন। এটা হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা এদেশের মানুষকে নিরক্ষরতামুক্ত করার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এটা জাতির জন্য দুঃখজনক। ৯৬ সালে আমরা আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করি। তখন আমাদের কোনো উদ্যোগ নেই, আমরা আবার শিক্ষা কমিশন গঠন করি। আসুন সাইন আপ রেট বাড়ানোর জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করি। সেখানে বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থাও সংযুক্ত ছিল।
তিনি আরও বলেন, ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আমাদের জীবনে আরেকটি অন্ধকার যুগ আসে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছে, আমরা আবার সরকার গঠন করেছি। এরপর থেকে আমরা আবারও লক্ষ্য করেছি, কীভাবে এদেশের মানুষকে নিরক্ষরতামুক্ত করা যায় এবং ২০১০ সাল থেকে আমরা বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু করেছি। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে জাতির পিতা যা করেছিলেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা এটি শুরু করেছি। এখন প্রতি বছর বই উৎসব পালিত হয়।
এ ছাড়াও এই প্রথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেও চালিয়ে যাবেন বলে কথা দিয়েছেন। সেই সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এবার স্মার্ট বাংলাদেশ করার লক্ষ্য হাতে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সবাইকে।