সম্প্রতি দেশে থেকে প্রচুর মানুষ বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। অনেকের ধারনা যাদের দেশ প্রেম নেই তারা বিদেশে চলে যান।কিন্তু প্রকৃত পক্ষে বিষয়টি তেমন নয়। আসলে বিদেশে গেলেই দেশ প্রতি ভালোবাসা কমে যায় না। বিষয়টি নিয়ে সা/মাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ/কটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বি/শিষ্ট সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা হু/বহু পাঠকদের জন্য নি/চে দেওয়া হলো।
গত কয়েক বছর লক্ষ্য করছি,কিছুদিন যাদের সঙ্গে দেখা হয় না,তারপর শুনি যে উত্তর আমেরিকা চলে গেছেন।যারা বিদেশে চলে যেতে চান, তাদেরকে উৎসাহিত করি।এক সময় যা করতাম না।পরামর্শ দেই, যে দেশে যাবেন যত দ্রুত সম্ভব সেই দেশের পাসপোর্ট নিয়ে নেবেন।তাহলে ভালো থাকা সহজ হবে।পাসপোর্ট নিলে দেশপ্রেমে কোনো ঘাটতি হয় না।
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা কখনও যাব না।আমরা মানে আমার পরিবারের কথা বলছি। এখনও সেই সিদ্ধান্তেই আছি।
শত প্রতিকূলতা মেনে নিয়ে দেশেই থাকতে চাই।যারা চলে গেছেন তাদের দেশপ্রেম কম,যাই নাই বলে আমাদের দেশপ্রেম বেশি,বিষয়টি মোটেই তেমন নয়।আমরা যাই নি বা যাব না,সেটা একান্তই নিজেদের সিদ্ধান্ত।আমরা আমেরিকা,ইউরোপ,জাপানে গিয়েছি অনেকবার।প্রতিবারই শুভাকাঙ্খিরা বলেছেন,থেকে যান।আমরা সব ব্যবস্থা করে দেব।থাকি নি।
যতবার নিউইয়র্কে যাই,অনেকেই মনে করেন একবারে চলে এসেছি। একথা কেন লিখছি?
যারা চলে গেছেন তাদের কেউ কেউ অভিযুক্ত করে বলেন,শুধু সরকারের সমালোচনা করেন। দেশ কত এগিয়ে গেছে গেছে,তা দেখেন না।রাস্তা, ফ্লাইওভার,সেতু…কত কিছু হয়েছে।আমরা নাকি এসবের কিছুই দেখি না।বলেন আরও অনেককিছু।কেউ কেউ ইঙ্গিত করে এমন অশোভন ও নির্দয় শব্দ লেখেন,যা বলতে বা লিখতে রুচিতে বাধে।আমাদের ভূমিকা নাকি দেশ বিরোধী।সে কারণেই উপরের প্রসঙ্গের অবতারণা।
তাদের উদ্দেশে বলতে ইচ্ছে করে,এত ‘উন্নয়ন’ রেখে আপনারা বিদেশে চলে গেলেন।আমরা সকল সুযোগ থাকা সত্বেও গেলাম না।তবুও আমরা ‘দেশ বিরোধী’!
কার্পেটের নিচে ময়লা আছে,এমন সত্য বলি বলে আমরা দেশ বিরোধী!!
দেশে থাকা নিয়ে বা আপনাদের চলে যাওয়া নি কিন্তু আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।