সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে অন্যতম একটি নাম হিরো আলোম। আলোচিত এই অভিনেতা এক সঙ্গে একধিক কাজের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। তিনি প্রায় বিভিন্ন বিতর্কীত কর্মকান্ড ঘটিয়ে সমালোচিত হয়ে থাকেন। কিন্তু কোন সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে নিজে নিজের মত কাজ করে যান হিরো আলম।
গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর দর্শক-শ্রোতার সুখকর প্রতিক্রিয়া পাননি হিরো আলম। কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি। বাংলা গানের পাশাপাশি ইংরেজি, হিন্দি, আরবি ও চীনা গানও কণ্ঠে তুলেছেন সমালোচনার তোয়াক্কা না করে। সর্বশেষ রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন হিরো আলম।
উদীয়মান কণ্ঠশিল্পী মণি চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন করেছেন, এটাকে (হিরো আলম) থামানোর কি কেউ নেই? আমাদের সংগীতাঙ্গন কি এতটাই অভিভাবকহীন? ‘
‘হাসান-লালন, শাহ আবদুল করিম, নজরুল, রবীন্দ্রনাথের মতো প্রতিভাবানদের গানে এদেশের গানের ভান্ডার সমৃদ্ধ। আরো কত গুণীজন লিখে গেছেন ভাটিয়ালি, জারী-সারী পল্লীগীতি, দেশাত্মবোধকসহ আরো কত গান! বিশ্বের দরবারে বাংলা গানের উচ্চ মর্যাদা রয়েছে। অসুস্থ এই মানুষটি সেই দেশেই দিনের পর দিন একের পর এক গানের বারোটা বাজাচ্ছে। “এত বড় সাহস তার কি করে হয়! এমন জঘন্য সুরে রবীন্দ্রসংগীত গাইছেন? এখন পর্যন্ত ঠিক করে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে পারে না! উনি হাজির হয়েছে রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে!’ ‘
‘আমি সংগীতশিল্পী। গান আমার সন্তান। প্রতিবাদ করা আমার দায়িত্ব।”প্রতিবাদ করা আমার দায়িত্ব।’ উল্লেখ করে মণি চৌধুরী আরো লিখেছেন: ‘…সংগীত নিয়ে যেন অন্যরকম এক তামাশায় লিপ্ত হয়েছে এই অসুস্থ মানুষটা। শুধু ও একা না, ওর পেছনে পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য একদল বিকৃত রুচির জঘন্যতম মানুষ আছে। যাদের ইন্ধনে ও এসব করার সাহস পায়। এ দেশে এত বয়োজ্যেষ্ঠ,এত মেধাবী,এত গানের কর্ণধার,আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি- দয়া করে তাকে থামান!তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিন। এভাবে আমাদের সংগীতের অপমান হতে দিয়েন না।’
প্রসঙ্গত, হিরো আলম একের এক গানকে বিকৃত করছে বলে মন্তব্য করেন সংগীতশিল্পী মণি চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করেন এমন ভাবে গানের বিকৃতি করলে দেশের গানের প্রতি সাধারন মানুষের শ্রদ্ধা হারিয়ে যাবে।