রাজনীতি সচেতন বা অসেচতন, আপনি যেইই হোন, কথা বলতে হবে পুলিশ ব্রুটালিটির বিরুদ্ধে এবং এটাই একমাত্রে সঠিক অবস্থান।
ছাত্র লীগ/দল/শিবির/ইউনিয়ন/ফেডারেশন/মৈত্রী/সমাজ/ইসলামি আন্দোলন – আপনি যেইই হোন না কেন, আপনাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে পুলিশ ব্রুটালিটির বিরুদ্ধে।
আপনি এতদিন পুলিশ কে ফুল দিয়েছেন পদোন্নতি পেলে, তাকে ভাই বানিয়ে ফোটো দিয়েছেন, আপনার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো ছেলেকে আঘাত করে তুলে দিয়েছেন পুলিশের কাছে, ঘুষ দিয়েছেন পুলিশের কাছে কারো অপরাধ রেকর্ড না করার জন্য – আপনি কোন ভিত্তিতে মনে করছেন যে পুলিশ আপনার বিরুদ্ধে কিছু করবে না? আপনি তো ছাত্র। ছাত্রে জনতার অংশ। জনতা কখনো ক্ষমতায় থাকে না। কে ক্ষমতায় যাবে সেটা নির্ধারণে শুধু “কবুল” বলে, নাও বলতে পারে।
অতেব, জনতা নির্যাতিত। ছাত্র যেহেতু জনতার অংশ, ছাত্র নিজেও নির্যাতিত। আর এখানেই ছাত্র ক্ষমতায় থাকা সকলের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়। দুঃখ লাগে যখন ছাত্র ক্ষমতার তোষামোদে নিজের ভবিষ্যৎ খুঁজে পায়।
এডিসি হারুণ একটি অস্ত্র মাত্র। এরকম অস্ত্র অনেক। ক্ষমতায় থাকতে হলে একজন সিপাহী যে কোনো ছাত্র সংসদের সভাপতির চেয়ে শতগুণে দামী ও প্রয়োজনীয়। অতএব, আসুন, পুলিশ ব্রুটালিটির বিরুদ্ধে কথা বলুন। আপনি যাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্রুটালিটি উশকে দিয়েছিলেন, আদেরকে একবার করজোরে সরি বলুন। কাঁধে কাঁধ মিলান।
একজন ছাত্র কখনোই ক্ষমতার অংশ না। যে ছাত্রে ক্ষমতার তোষামোদ করে, তার জন্য দোয়া করুন। ছাত্র, বাই ইটস ডেফিনিশন ক্ষমতাবিরোধী, সরকারবিরোধী কিন্তু সে দেশের, সমাজের, রাষ্ট্রের।
আমি এডিসি হারুণের পুলিশ ব্রুটালিটির শাস্তি চাই। আমি সকল পুলিশ ব্রুটালিটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চাই। পুলিশ ব্রুটালিটির সমাপ্তি চাই এবং এর জন্য যাবতীয় সমাধান প্রস্তুতে অংশ নিতে চাই।
-ইমতিয়াজ নাদভী