নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন কৌশলে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে। তবে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে বৃহত্তর দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। নিরপেক্ষ সরকারের দাবি নিয়ে তারা অনেক দিন ধরে আন্দোলন করেছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সংবিধানের বাহিরে যেতে রাজি নন। বিএনপি হারার ভয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিধাগ্রস্ত বলে মন্তব্য করে যা জানালেন সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দ্বিধাগ্রস্ত বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও খালি মাঠে গোল দিতে চায় না, আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান উভয়েই আইনের দৃষ্টিতে নির্বাচনে অযোগ্য উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, আর মির্জা ফখরুল, যার নেতৃত্ব দাবি করে বিএনপি সুসংগঠিত, তারেক রহমান দুর্নীতির বরপুত্র, দণ্ডিত পলাতক আসামি।
তিনি আরও প্রশ্ন করেন, রাজনীতি না করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা একজন পলাতক আসামি কীভাবে বিএনপির নেতা হতে পারেন?
আওয়ামী লীগ একটি স/ন্ত্রাসী দল, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, আসলে বিএনপি দেশে-বিদেশে একটি স্বীকৃত স/ন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালতও বিএনপিকে স/ন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সংগঠন এবং জনগণের আস্থার ঠিকানা দাবি করে কাদের আরও বলেন, স/ন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, স/ন্ত্রাস তারাই করে, যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ। জনকল্যাণে যাদের কোনও ইতিবাচক কর্মসূচি থাকে না, তারাই স/ন্ত্রাস, ষ/ড়যন্ত্রকে ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়—বিএনপিও তাই করছে।
সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চায় না, বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আসলে নির্বাচনকে ভয় পায়। তারা শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তায় ভীত।
সরকার সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিশ্বাসী, নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব দলের রাজনৈতিক অধিকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটি কোনও সুযোগ নয়, এটি একটি অধিকার, কিন্তু বিএনপি পরাজয়ের ভীতিতে আক্রান্ত, তাই তারা নির্বাচনে আসে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলছেন, তারা কমিশনকে বিতর্কিত করতে চায় এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে উদ্দেশ্যমূলক অপকর্ম চালাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের মনে করে দিয়ে বলেন, তাদের সময় কমিশন গঠনে তারা কী কারও মতামত নিয়েছিল? কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিল?
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সাদেক আলী ও আজিজ মার্কা অজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সোয়া এক কোটি ভুয়া ভোটার তালিকাবদ্ধ করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করেছিল কারা? দলীয় ক্যাডারদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দিয়েছিল কারা? বিএনপি কী এসব ভুলে গেছে?
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কোনো মতামত নেওয়া হয়নি, সংলাপ হয়নি। আজ্ঞাবহ কমিশন গঠনে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি।
প্রসঙ্গত, বিএনপি নির্বাচন করতে ভয় পায় কারন তারা জনবিছিন্ন দল বলে মন্তব্য করেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আরোও বলেন, যাদের নেতা নেই তারা কিভাবে নির্বাচন করবেন।