বর্তমান সরকার ( Government ) ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের ( India ) সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক গড়ে উঠে বাংলাদেশের সাথে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে দাড়িঁয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে অনেক ক্ষেত্রে ভারত সরকার ( Government ) বাংলাদেশকে সাহায্য করে আসছে। এবার ভারতের ( India ) সাথে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যখন ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন ভাবে এগোনোর চেষ্টা করছে, বাংলাদেশে চিনের ( China Bangladesh ) ক্রমবর্ধমান আগ্রহের মধ্যে, বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের মধ্যে, ঢাকা এবং নয়াদিল্লি জুনে ( June ) উভয় পক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক যৌথ পরামর্শমূলক কমিশনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা জুলাইয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ( Sheikh Hasina ) সম্ভাব্য ভারত সফরের পথ প্রশস্ত করবে।
কিন্তু দুই দেশের মধ্যে একটি বিতর্কিত সমস্যা যা এক দশক ধরে অমীমাংসিত রয়ে গেছে তা হল তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি। “এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা ১১ বছর ধরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিতে পৌঁছাতে পারিনি। আমরা ভারতের সাথে ৫৪টি নদী ভাগ করে নিয়েছি। আমরা সকল নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনায় ভাগাভাগি ও একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। জনগণের কল্যাণে প্রয়োজন সমষ্টিগত ব্যবস্থাপনা। উভয় পক্ষ, সমগ্র অববাহিকা এলাকা,” ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন গুয়াহাটিতে NADI কনক্লেভে অংশ নিতে এসে বলেছেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন “এটি একটি লজ্জাজনক বিষয়, আমরা প্রস্তুত ছিলাম, তারা প্রস্তুত ছিল, কিন্তু কোন চুক্তিতে পৌঁছানো হয়নি,। ভবিষ্যতে পানির জন্য বড় হাহাকার হবে এবং এর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে,” বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিস্তা নদী বাংলাদেশে প্রবেশের আগে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ১৯৪৭ সালে তিস্তা ক্যাচমেন্ট এলাকাগুলি ভারতকে বরাদ্দ করার পর থেকে এটি সং/ঘাতে জর্জরিত। ২০১১ সালে, ভারত তিস্তার জলের ৩৭.৫ শতাংশ ভাগ করতে সম্মত হয়েছিল এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে ৪২.৫ শতাংশ জল ধরে রেখেছিল। যাইহোক, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতার কারণে চুক্তিটি কখনই হয়নি, যিনি এই চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের সাথে এত বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক থাকার সত্বেও তিস্তার চুক্তি এখনো সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশ প্রস্তুত থাকালেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতার জন্য শেষ পর্যন্ত চুক্তিটি আটকে থাকে।