বিএনপির যুগ্ম-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, দেশে অনির্বাচিত সরকার এলে সেই সরকার মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে যে জনগণকে তোয়াক্কা না করে ক্ষমতায় থাকা যায়। আর এটিই যখন সত্যি হয়, তখন এই সরকারের কোনো ঠেকা পড়েনি— পেঁয়াজের দামকে সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসবে, আলুর দাম ৮০ থেকে কমিয়ে ২০ টাকায় আনবে। একডজন ডিম ১৪০ টাকা থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য কমিয়ে আনবে।
যমুনা টেলিভিশনে সমসাময়িক রাজনীতি বিষয়ক টকশোতে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সাবেক এই সংসদ সদস্য।
এর আগে টকশোর উপস্থাপক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার কাছে জানতে চান, বর্তমান সরকারের প্রথম ইশতেহার ছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। এই নতুন লঞ্চের অংশ হিসাবে, বাজারের জিনিসপত্রের দাম বেশি নিলে ৩৩৩-তে কল করে জানানো যাবে এবং সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই সুবিধা চালুর পরও কেন বিএনপির সঙ্গে জনগণ থাকবে বলে মনে করেন?
জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, সবকিছুর উৎস রাজনীতি। রাজনীতির বাইরে কিছু নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি থেকে শুরু করে টাকা পাচার, দুর্নীতি, মেগাপ্রজেক্ট, মেগা লুট, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধী দলের ওপর ক্রাকডাউন বা ভিন্নমতের ওপর দমন পীড়ন সব কিছু রাজনীতির মধ্যেই।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম থেকে শুরু করে ভোট দিতে পারছি কিনা এগুলো প্রশ্নের জবাবও একই সূত্রে গাঁথা।
সাবেক এই সংসদ সদস্য মনে করেন, যখনই কোনো অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসে এবং সেই সরকার মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে, জনগণের তোয়াক্কা না করেই ক্ষমতায় থাকতে পারবে। এটিই যখন সত্যি হয়, তখন কোনো কিছুকেই পাত্তা দিতে চায় না। এটিই এখন ঘটছে বাংলাদেশে।
তিনি বলেন, ৩৩৩ যদি কাজ না করে, তাহলে এই সরকারের কি কি যায় আসে? ভোটের ক্ষমতা থাকলে, জনগণের ক্ষমতা থাকত, সংবিধান তাদের যে ক্ষমতা দিয়েছে, জনগণ সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারত। তা হলে সরকার দাম অনেক আগেই নিয়ন্ত্রণে আনত, এখন নয়।
আগের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি- আপনি যতই টিপু মুনশির জায়গায় টিটু মুনশি আনেন, কিচ্ছুই হবে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।