চলমান ইউপি নির্বাচনের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা সহ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা না যেতে দেওয়াই চলছে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি এর ভিতরে তুমুল দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি দেশে নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতার ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে এবার বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন জনগণকে আহ্বান করলেন সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেওয়ার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ফিরে আসবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা ধাক্কা দেওয়া বাকি। সেই ধাক্কাটা দিতে আসুন সকলে সংগঠিত হই। এই সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা এই ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।
আজ সোমবার দুপুরে গতকাল অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের সহিংসতার প্রসঙ্গে টেন এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, এদেশের জনগণকে সংগঠিত করে, বিএনপিসহ দেশের যারা দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক এবং জাতীয়তাবাদী সকল শক্তিকে আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইস্পাত কঠিন ঐক্য সৃষ্টি করে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আর গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধবংস করে দিয়েছে। এটা পরিস্কার যে, এই সরকারের অধীনে গণতন্ত্র আসবে না। এরকম অবস্থা থাকলে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে না। চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হলো। এই নির্বাচনে কি পরিমাণ সন্ত্রাস হতে পারে, কি পরিমাণ মারামারি হতে পারে, কত মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে আপনারা দেখেছেন।
তিনি আরো বলেন, এই সরকার নিজের অপকর্মের ভারে পতনের মুখে। এখন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশপ্রেমিক সকল শক্তির মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য সৃষ্টি করে গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, সরকারে এতোদিন থাকার পরে নিজেরও একটা ভার আছে সেই ভারে আজকে পতনের মুখে, আন্তর্জাতিকভাবেও কিন্তু তারা যে চাপে আছে তাতেও পতনের মুখে। এখন আমাদের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা ধাক্কা দেওয়া বাকি।
সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামুসজ্জামান দুদু, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সাকিব আলী বক্তব্য রাখেন।
যদিও দেশের এই অবস্থায় বিএনপি অনেক নেতাই অনেক সময় অনেক ধরনের আন্দোলন কিংবা নানান কথা বলছে সরকারের বিপক্ষে। তবে এই মুহূর্তে সফলতা খুব একটা বেশি পাওয়া যাচ্ছে না তার প্রধান কারণ এটা হতে পারে যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাসপাতালে শুয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তবে ওনার এই বক্তব্যের উত্তরে সরকার পক্ষ থেকে এখনো কিছু বলার কথা শোনা যায়নি।