Sunday , November 10 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এটাতো অশনিসংকেত, বললেন ড. আকবর আলী খান, জানা গেল কারণ

এটাতো অশনিসংকেত, বললেন ড. আকবর আলী খান, জানা গেল কারণ

ড. আকবর আলী খান হলেন একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবীদ। এছাড়াও তিনি একাধারে একজন শিক্ষাবীদ ও সরকারি আমলা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার অবদান ছিলো অপরিসীম। তিনি এদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণকে গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত।

ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণকে গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান। তিনি আরো বলেন, সরকার জনগণের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হলে তাকে গণতন্ত্র বলা যায় না। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মারক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আকবর আলি খান বলেন, ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ গণতন্ত্রের জন্য খারাপ। যে দেশে জনগণ সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেটি গণতন্ত্র। যে দেশে জনগণের নিয়ন্ত্রণ নেই, সেটা ভোট হোক বা যাই হোক, তাকে গণতন্ত্র বলা যায় না।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা মনে করেন, নানা সংকটের মধ্যেও ঔপনিবেশিক শাসনামলে শিক্ষার মান অনেক ভালো ছিল। এমাজউদ্দীন আহমদের শিক্ষাজীবন কেটেছে ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায়। সেই শিক্ষাব্যবস্থার শুধু দুর্বলতাই ছিল না, এর অনেক শক্তিও ছিল। তখনকার পাঠ্যক্রম ছিল সেকেলে, পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষকের অভাব ছিল, কিন্তু শিক্ষার মান ছিল অনেক উঁচু।

আকবর আলি খান বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থাকে সে সময়ের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, আজ আমাদের অবকাঠামোর অভাব নেই, ভবন-বিশ্ববিদ্যালয় পরিপূর্ণ, বই, গ্রন্থাগার ও শিক্ষকের অভাব নেই। শোনা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কোনো বিভাগে এত বেশি শিক্ষক আছেন যে পাঠদানের কোনো কোর্স নেই এবং একজন শিক্ষক সারা বছর একটি কোর্স পড়াতে পারলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন। কিন্তু এমাজউদ্দীন সাহেব যখন পড়াশুনা করতেন, তখন শিক্ষকরা দিনে তিন-চারটি ক্লাস নিতেন, কিন্তু শিক্ষার মান কমেনি।

আকবর আলি খান ‘তখন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও সংসদের হলের নিয়মিত নির্বাচন হতো’ উল্লেখ করে বলেন, ‘আজকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে নির্বাচন হয় না, কলেজে নির্বাচন হয় না এবং গণতন্ত্রের প্রতি ভালোবাসা তো দূরের কথা। গণতন্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্ন তুলে ধরা হয়।’

আকবর আলী খান বলেন, ‘এমাজউদ্দীন আহমদ উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন, সবার সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। তিনি সংঘাতের রাজনীতি নয়, সমঝোতার রাজনীতি করেছেন।

স্মরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন। তিনি এমাজউদ্দীন আহমদের ব্যক্তিত্ব ও কর্মজীবন নিয়ে কথা বলেন। রওশন জিন্নাত বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদের পড়াশোনার প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিল। তিনি 60 টিরও বেশি বই এবং ১০০ টিরও বেশি গবেষণা নিবন্ধ লিখেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে তার তত্ত্বাবধানে প্রথম এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

এমাজউদ্দীন আহমদ গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কবি আবদুল হাই শিকদার। সভাপতিত্ব করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল লতিফ মাসুম। এ সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ একটি গণতন্ত্র দেশ। এ দেশে বিভিন্ন দর্ম ও পেশার মানুষ বাস করে। একটি গণতন্ত্র দেশে সবারই সমান অধিকার থাকে। দেশের মানুষ যেকোনো ভালো কাজ বা কথা বলার অধিকার রাখে। বিশ্বে অনেক গণতান্ত্রিক দেশ আছে।

About Shafique Hasan

Check Also

জেলে থেকে শত কোটি টাকার মালিক আলমগীর

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এবং সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আলমগীর হোসেন ও তার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *