গত শুক্রবার (২২ জুলাই) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪ টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। তার মৃত্যুর খবরে রীতিমতো শোকের কালো ছায়া নেমে এসেছে গোটা দেশজুড়ে।
এদিকে ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া একজন সহজ-সরল মানুষ ছিলেন, তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। আমি যখন প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হলাম, তখন টেবিলে পাশাপাশি বসে ফরম পূরণ করেছি। একসাথে জমা দেই। তিনি তার সব সমস্যা আমার সাথে শেয়ার করতেন।
তিনি বলেন, শারীরিক অসুস্থতা নিরাময়ের জন্য তিনি বিভিন্ন দেশে গিয়েছিলেন, আমার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। আমি আশা করেছিলাম সে সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে। কিন্তু সে ফিরে আসেনি- এটাই সবচেয়ে বড় আফসোস। আমাদের বিরাট ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে ডেপুটি স্পিকারের জানাজায় অংশ নিতে এসে সাংবাদিকদের কাছে আবদুল মোমেন এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিজ এলাকার মানুষের পক্ষে কথা বলতে তিনি লজ্জা পান না। এলাকার মানুষের জন্য তিনি সুপারিশ করেন। কিন্তু এই সুপারিশ ছিল শুধুমাত্র সৎ লোকদের জন্য।
মরণব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেছিলেন ফজলে রাব্বী মিয়া। সকলেই আশা করেছিলেন, খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে আবারও ফিরে আসবেন তিনি। কিন্তু তা আর হলো কই! এর আগেই সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফজলে রাব্বী মিয়া।