দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং বিচার বিভাগ স্বৈরাচারী শাসনের সময় শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, যিনি অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বিচার না হওয়ার ফলে সমাজে দুর্নীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দুদক এবং উচ্চ আদালত থাকলেও ন্যায়বিচার হয়নি। বিচার হয়েছে কেবল খালেদা জিয়ার।”
অনুষ্ঠানে দুদক সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতিবাজরা রাষ্ট্রের কাঠামো দখল করে রেখেছে, যাতে অন্যায় থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এই অবস্থার ফলেই দুর্নীতিগ্রস্ত কর্তৃত্ববাদী সরকার তৈরি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার কার্যক্রমের সময় রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এবং দুদক কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে। এখন সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।”
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, “সৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারলে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। শুধু প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নয়, জনগণের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী চেতনা জাগ্রত করতে হবে।”
দুদকের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, “দেশের উন্নয়নের বড় বাধা হলো দুর্নীতি। এটি নিয়ন্ত্রণে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করা আমাদের দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিজ্ঞাবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”