ঢালিউড সিনেমা জগতের এক সময়ের খুবই জনপ্রিয় ও খ্যাতিমান খল অভিনেতা মোহাম্মদ আশরাফুল হক। তবে পর্দায় ‘ডন’ নামেই ভক্তদের মাঝে অধিক পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। এদিকে গেল কয়েক বছরে পর্দায় খুব একটা দেখা মেলেনি তার। বলতে গেল, এই মুহুর্তে রয়েছেন অভিনয় জগতের অনেকটা বাইরে।
ডন ক্যারিয়ারে প্রায় পাঁচ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেন আরেক শক্তিমান খল অভিনেতা মিশা সওদাগরের সাথে। মিশা সওদাগরের অভিনয় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডন বলেন, ‘মিশা ভাই স্বাভাবিক অভিনয় করার চেষ্টা করেন। ফলে যারা ধরা পড়েন তারা ব্যথা পান। অর্থাৎ অ্যাকশন বা রে”প দৃশ্যে সহশিল্পী ব্যথা পান। এটা উচিত নয়. আমরাও এটা করি, রে”’প’ সিন করি, কিন্তু সহশিল্পী আঘাত পায় না। ‘রে”প’ দৃশ্য থাকলে মিশা ভাই আরও এগ্রেসিভ হয়ে যান। চুলের মুঠি এমনভাবে ধরেন চুল ছিঁড়ে ফেলেন- এটা আমরা দেখে আসছি।’
ঢালিউডে বরাবরই রাজনীতি। মিশা সওদাগরের বিপরীতে অভিনয় করেছেন, এর আগে সালমান শাহের সঙ্গেও দেখা গেছে আপনাকে। আপনার কর্মজীবনে হঠাৎ মন্দা। তাহলে কি এর জন্য চলচ্চিত্র রাজনীতিকে দায়ী করবেন? জবাবে ডন বলেন, ‘ফিল্ম পলিটিক্সে মিশা ভাই পারফেক্ট। যার জন্য মিশা ভাই এখন ভালো পর্যায়ে আছেন। আমরা চলচ্চিত্রকে নিয়ে এতটা রাজনীতিকরণের কথা ভাবি না। আমার কথা হলো- চলচ্চিত্র শিল্পীর বিস্তৃত মন থাকতে হবে। শিল্পীরা উদার হবেন।’’
মিশা সওদাগর কি আপনার সঙ্গে চলচ্চিত্র রাজনীতি করেছেন? এ প্রশ্নের জবাবে ডন বলেন, ‘মিশা ভাই সারাজীবন আমার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। সব সময় ছোট করে পাগল বানিয়ে রেখেছেন। সে সব জায়গায় পাগল পাগল ডাকছে। আমরা এটা নিয়ে কখনো কিছু বলি নাই। আমরা এখন বলতে বাধ্য হচ্ছি- মিশা ভাই সিনিয়র হয়ে গেছেন। সহশিল্পীদের সঙ্গে এখন সে এমন আচরণ করলে খারাপ লাগবে। মিশা ভাই জুনিয়র শিল্পীদের অনেক সিকোয়েন্স কেটে দেন। এটা তাকে মানায় না।’
সম্প্রতি চিত্রনায়ক বাপ্পি বলেছেন ‘মিশা ভাই সুবিধাবাধী’। স্মরণ করিয়ে দিলে ‘ডন বলেন, ‘বাপ্পিকে হয়তো সুবিধাবাদী মনে হয়েছে তাই বলেছে। শুধু মিশা ভাই নয়; ছবির সবাই সুবিধাবাদী। মিশা ভাই না বাংলাদেশে না আমেরিকায়, বাংলাদেশে সেটেল্ড না আমেরিকায়। এখানে দু-চারমাস কাজ করে টাকা বানিয়ে আমেরিকা গিয়ে আবার তিন-চার থেকে আসেন। ফিল্ম এখন কম হচ্ছে। যাও দু-একটা মিডিয়ার ছেলে তৈরি করছে। এফডিসির পরিচালকরা এখন কম সিনেমা বানাচ্ছেন। মিশা ভাই এ উপলক্ষে তার বক্তব্যে মিডিয়াকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। এটাও মিশা ভাইয়ের রাজনীতির একটা ধরন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যদিয়ে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন ডন। বর্তমানে তার ঝুলিতে রয়েছে একাধিক ব্যবসায় সফল সিনেমা।