নির্বাহী আদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। ফলে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গণশুনানির মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয় করবে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে।
গেজেট অনুসারে, ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সরকারকে ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ ও সমন্বয়ের ক্ষমতা দিয়ে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২’ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।
অধ্যাদেশটি শুল্ক নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয়ে সরকারের ক্ষমতা শিরোনামে ৩৪(ক) ধারা যুক্ত করা হয়। ওই ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে, কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালি কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উহাদের উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহন ও বিপণনের নিমিত্ত দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করিতে পারিবে।’
পরে সংসদ বসলে অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত হয়। মন্ত্রণালয় থেকে দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছিল গ্যাস, বিদ্যুৎ ও তেলের দাম। যা নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল।
বিদ্যুৎ উৎপাদন সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণশুনানির মাধ্যমে অধিকতর জনসম্পৃক্ততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন, জনগণের প্রত্যাশা এবং ভোক্তা স্বার্থ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩’ এর ৩৪(ক) ধারা বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।