বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বাংলাদেশের বিনোদন জগতের ভিন্নভাবে আলোচনায় আসা আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতা করেছেন। কিন্তু প্রথম দিকে ভোটে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয়েছেন। এদিকে তার এই নির্বাচনকে ঘিরে হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন এক অধ্যক্ষ। এখন তিনি গাড়ি দিতে গড়িমসি করছেন, বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আবদুল জব্বার একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের অধ্যক্ষ এম মুখলিছুর রহমান এ তথ্য জানান। তার ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া শিক্ষকের ৩ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোহ মাধ্যমে ভাই”রাল হয়েছে।
কিন্তু লাইভ দেখার পর হিরো আলম মুখলিছুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি গাড়িটি দিতে দিতে গড়িমসি করেন।
ভিডিওতে তিনি বলেন, ভোটের প্রচারণা চালিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন হিরো আলম। তিনি নির্বাচনে জিতবেন কিনা জানি না। ফলাফল যাই হোক; আমি তাকে আমার গাড়ি উপহার দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে হিরো আলমের নির্বাচনে ছয় লাখ টাকা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি ভিডিও করেছিলাম। সেখানে অনেকেই বাজে মন্তব্য করেছেন। জবাবে আমি আমার নোয়া গাড়িটি তাকে উপহার হিসাবে দেওয়ার ঘোষণা করছি।
সিলেটের মানুষকে কল”ঙ্কিত করব না। আমি একজন অধ্যক্ষ ফালতু ওয়াদা করি না। প্রতিশ্রুতি অনুসারে আমি আমার গাড়িটির কাগজপত্র করে চিরতরে তাকে উপহার দেব।
কেন নিজের গাড়ি উপহার হিসেবে দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই শিক্ষক বলেন, হিরো আলম এক সময় জিরো ছিলেন। আজ সে এক টুকরো সোনা। সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাকে সাহায্য করার জন্য আমি গাড়িটি উপহার দেব।
এ বিষয়ে হিরো আলমের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান বলেন, তার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। তবে আমি তাকে গাড়ি নিতে চুনারুঘাটের নরপতি গ্রামে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
ওই শিক্ষক আরও জানান, গাড়িটি তিনি ৬ লাখ টাকায় কিনেছেন।
যোগাযোগ করা হলে হিরো আলম বলেন, ভিডিও দেখে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এখন গাড়ি উপহার দিতে গড়িমসি করছেন। আমি তার আচরণ আমার নিকট পছন্দ হয়নি। তিনি তার ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য এটি করতে পারেন। তিনি এটা ফালতুমি করেছেন।
তবে তিনি ঠিক কী কারণে হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দিতে চেয়ে এমনটি করছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ শিক্ষকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারনা করা হচ্ছে তিনি আবেগ বশত এমন কথা বললেও তিনি পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পাল্টিয়েছেন।