সম্প্রতি শিক্ষকরা নানা ভাবে লাঞ্ছনা্ শিকার হচ্ছে। যার কারনে সমাজ ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাবে পড়ছে। সমাজে শিক্ষকরা যদি এমন ধরনের অপ্রীতিকর কর্মকান্ডের শিকার হয় তাহলে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থা হুমকির মধ্যে পড়বে। মানুষ গড়া কারিগর যারা তারাই যদি হেনস্তার মুখে পড়ে তাহলে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা দিবে কে এমন প্রশ্ন অনেকের। এবার শিক্ষক লাঞ্ছনা প্রসঙ্গে যা বললেন পিকানী ভট্টাচার্য।
শিক্ষক লাঞ্ছনা ও শিক্ষক হ/ত্যা নিয়ে বাংলাদেশের প্রগতিবাদিরা চিল্লাপাল্লা শুরু করেছে। বাংলাদেশে সম্প্রতি উত্তেজিত জনতা কতৃক একটি শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা ও একটি দুর্বৃত্ত ছাত্রের হাতে শিক্ষক হ/ত্যা ঘটেছে, ঘটনা সত্য। প্রতিবাদ জানাতে হবে। কিন্তু সেই ঘটনার জন্য যারা আজ প্রতিবাদ করছে তারাই দায়ী। কিভাবে?
এরাই মাদ্রাসা শিক্ষকদের শিক্ষক বলে মনে করেনা। মাদ্রাসাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। আওয়ামী লীগ সরকার কি কম মাদ্রাসা শিক্ষকদের হ/ত্যা করেছে? কম মাদ্রাসা শিক্ষকদের লাঞ্ছনা করা করেছে?
এইযে তাদের উচ্চমান্যতার ধারণা। এইযে তাদের একটা বিশাল অংশের শিক্ষকদের আদার করে তাদের হত্যা ও লাঞ্ছনার বৈধতা উৎপাদন করে দেয়া সেটাই তো এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
শিক্ষকদের মর্যাদা হাসিনা নষ্ট করেছে এইভাবেই। এখন কান্নাকাটি করে লাভ কী? আপনাগো ছাত্রলীগ ছাত্ররা তো একটু আধটু মাইর টাইর দিতেছে। এইটা আরো বাড়বে। রেডি থাইকেন। যেই ফ্রাংকেন্সটাইনের দানব বানাইছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে সেইটার দংশন কেমন মজার টের পাইবেন।
খাড়ান।
প্রসঙ্গত, দেশের শিক্ষকদের মর্যাদা এই সরকারের আমলে বেশি নষ্ট হয়েছে এর জন্য শেখ হাসিনা দায়ি বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এর থেকে আরও খারাপের দিকে যাবে যার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।