জাতীয় সংসদ ( National Parliament ) নির্বাচনের জন্য সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার শপথ গ্রহণের পর নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। সিইসি দায়িত্ব নেবার পর প্রথমেই বলেন তিনি কোন রাজনৈতিক চাপে নেই। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিএনপিকে ( BNP ) চায়ের দাওয়াত দিয়ে আলোচনায় আহবান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন কমিশন স্বাধীন ভাবে কাজ করবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নতুন নির্বাচন ১২ তম সংসদ নির্বাচন একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল ( Kazi Habibul ) আউয়াল বলেছেন, নতুন নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক চাপে নেই। মানসিক চাপের প্রশ্নই আসে না। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করবে।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) সকালে সাভারে ( Savar ) জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে আগেই বলেছি। এখন একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি হবে। কমিশনে মিটিং করে আমরা কাজ করবো। বর্তমান নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বদ্ধপরিকর। আশা করি এই কমিশনারের অধীনে সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে।
এর আগে চার নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান ও সাবেক সিনিয়র সচিব ড. আলমগীর ও আনিসুর রহমানসহ সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।
অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো: আলমগীর ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমান, ইসি সচিব হুমায়ুন কবির খন্দকার, ঢাকার জেলা প্রশাসক সহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সদস্যরা। জেলা সিনিয়র নির্বাচন কমিশনার মনির হোসেন খান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, টানা কয়েকটি বৈঠকের পর সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথমে নিরপেক্ষ নির্বাচন কারার কথা বলেন। তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।