গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নির্দেশের ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেই সমস্যাগুলো সমাধানে গত ১৮ নভেম্বর মন্ত্রণালয় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অ্যাডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, অ্যাডহক কমিটির সভাপতির জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। বেসরকারি কলেজের ক্ষেত্রে সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে স্নাতকোত্তর এবং স্কুলের জন্য স্নাতক ডিগ্রি পাস হতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা, ২০২৪–এর প্রবিধি ৬৪ (৩)-এর আওতায় অ্যাডহক কমিটি গঠন করতে হবে। এই কমিটি আগামী ৬ মাসের মধ্যে নিয়মিত কমিটি গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
আজ, ১ ডিসেম্বর, আরেকটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় যে, গত ২৪ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে এবং ১৮ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপন কার্যকর থাকবে।
এডহক কমিটির চার সদস্য বিশিষ্ট হতে হবে—
(ক). সভাপতি–মহানগরীর ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনাক্রমে, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি, খ্যাতিমান সমাজসেবক, জনপ্রতিনিধি অথবা কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারি;
(খ). শিক্ষক প্রতিনিধি—জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনীত সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজন শিক্ষক;
(গ). অভিভাবক প্রতিনিধি—জেলা সদরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক কর্তৃক এবং উপজেলার ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত একজন অভিভাবক;
সরকারি নির্দেশনার এই পরিবর্তন শিক্ষার মান উন্নত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।