গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোরে মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে সিলেট বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমেদ নামে এক যুবককে ধরে এনে রাতভর নির্যাতন, অতঃপর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এরই মধ্যে প্রধান আসামি এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্তের কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
তবে এ মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষী চুলাই লাল ‘আত্মহনন’ করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হানের মা সালমা বেগম। এছাড়া আরেক সাক্ষী হাসানকে সাক্ষ্য না দিতে ‘হুমকি’ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) এ মামলার শুনানিতে আদালতে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
সালমা বেগম বলেন, রায়হানকে চুলাই লালের ঘর থেকে সুস্থভাবে ধরে আনে পুলিশ। চুলাই লাল হলো প্রথম সাক্ষী। সে নাকি দুই মাস আগে মারা গেছে। এখন আমি শুনছি, কেউ কেউ বলছে, পুলিশও বলছে, সে নাকি আত্মহনন করেছে। আমি সঠিক জানি না সে আত্মহনন করেছে কিনা বা সে কিভাবে মারা গেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলার আরেক সাক্ষী হাসান সে এখন ঢাকায় আছে। তাকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তুমি কোথায় আছো? তুমি সাক্ষী দিতে যাবে না।
তবে চুলাই লাল আত্মহনন করেছেন কী না এ বিষয়ে জানতে মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি এসআই আকবরকে মাস খানেক পরেই সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত এলাকা গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১১ অক্টোবর রায়হানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই রীতিমতো পালিয়ে বেড়ান তিনি। বর্তমানে কারাগারের চার দেয়ালের মাঝেই দিন কাটছে তার।