১৯৯৮ সালে টলিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি জনপ্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেন। তিনি তার বাবা-মায়ের পছন্দে বিয়ে করেন। কিন্তু দুই বছরের মধ্যে পারিবারিক জীবনে ছন্দপতন ঘটে।
২০০০ সালে, স্বস্তিকা তার শিশু অন্বেষাকে তার কোলে নিয়ে তার শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। একই বছর তিনি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। তারপর অভিনেত্রী তার মেয়ে অন্বেষাকে সিঙ্গেল মা হিসেবে বড় করেন। সবাই জানত প্রমিত-স্বস্তিকার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু তা হয়নি। কাগজে কলমে তারা এখনও স্বামী-স্ত্রী। ২৩ বছর ধরে আদালতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে।
ভারতীয় একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন- ‘না, আমার ডিভোর্স এখনও হয়নি। তবে অবশ্যই হবে। বিচার বিভাগের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে।’
স্বস্তিকা কখনোই তার স্বামী প্রমিত সেনের কাছ থেকে কোনো খোরপোষ নেননি। এসব তথ্য উল্লেখ করে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, “আমি পুরোপুরি চাই বিবাহ বিচ্ছেদ হোক।” আমি চাই এটা শেষ হোক, একটা মীমাংসা হোক। কিন্তু এটা আমার জীবনে কোনো প্রভাব ফেলছে না। তখন আমি প্রেগন্যান্ট ছিলাম, এখন আমার মেয়ে মাস্টার্স করছে। যুদ্ধের অধিকাংশই আমি লড়ে ফেলেছি, জিতেওছি। চাই আমার চুলগুলো পেকে যাওয়ার আগে যাতে ডিভোর্সটা হয়ে যায়।’
একেন এত বছর ধরে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বলেন, “কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। এক আইনজীবী থেকে অন্য আইনজীবীর কাছে তা চলতেই থাকে।আমাদের মন দিয়ে একটু অ্যাগ্রেসিভলি মামলার পেছনে পড়ে থাকা উচিত। আমার মা অনেকটা সামলাতেন। সত্যি বলতে আমি মামলার পেছনে একটু সময়ও দিতে পারি না। সত্যি আমার কাছে সময় নেই। ঠিক করেছি একমাস সময় নেব, তারপর মন দিয়ে এই ব্যাপারটা সামলাব।’