জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) র্যাগিং, পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন (নকল) সহ বিভিন্ন কারণে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের ৬২তম সভায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন, পদার্থবিদ্যা, পরিসংখ্যান ও রসায়নসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীকে নকল করার দায়ে কাউকে এক সেমিস্টারে, কাউকে দুই সেমিস্টারে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া র্যাগিংয়ের অপরাধে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এই দুই শিক্ষার্থীর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে, যৌ”ন হয়রানির অভিযোগে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিকুল ইসলাম আশিক নামে এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এই ছাত্রীর বিরুদ্ধে যৌ”ন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আশিকের বিরুদ্ধে অভিযোগটি তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়’রানি বিরোধী সেলে পাঠানো হয়েছে।
শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই পরীক্ষায় নকলের দায়ে অভিযুক্ত। কাউকে এক সেমিস্টারে, কাউকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকের কাছে নকল পাওয়া গেছে; কিন্তু নকল করেনি এমন যারা আছে, তাদের কোর্স বাতিল করা হয়েছে।
প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কারও কাছে নকল পাওয়া গেলে এবং সে যদি নকল না করে থাকে, তাহলে কোর্স পরীক্ষা বাতিল করা হয়। যে কেউ নকল করে তাকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়। আর যদি খাতা নেওয়ার সময় শিক্ষার্থী বাধা দিলে দুই সেমিস্টারে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের অপরাধে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ছোটখাটো অপরাধের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের দিকে নজর দেওয়া হয়। আর অভিযোগ গুরুতর প্রমাণিত হলে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।