অনেক কষ্ট সহ্য করে দুই ছেলেকে বড় করেছিলেন শামসুদ্দীন। বলতে গেলে, কোনো কিছুরই কমতি রাখেননি তিনি, নিজের সাদ্ধমত সন্তানদের আবদার পুরুন করার চেষ্টা করেছেন। বছর কয়েক হলো সংসারের হাল ধরেছে দুই ছেলে। আর এরই আলোকে খানিকটা অবকাশ যাপন করছিলেন বাবা শামসুদ্দীন।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয় উপজেলার বাসিন্দা তিনি।
কিন্তু বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে দুর্ঘটনায় সব বদলে যায়। কাভার্ডভ্যানে তার দুই ছেলে নিহত হয়। সুমন ও শেখ ফরিদ।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের গড়াইশ গ্রামে সুমন ও ফরিদকে দাফন করা হয়। জানাজার সময় দিশেহারা শামসুদ্দিন কান্নাকাটি শুরু করেন।। তার কান্না দেশে কাঁদেন উপস্থিত স্থানীয়রাও।
শামসুদ্দিন বলেন, আমি কখনো ভাবতে পারিনি দুই ছেলে এভাবে আমার বুক ছেড়ে চলে যাবে। এখন কার সাথে থাকবো? ছোট নাতিদের কি হবে? তুমি আমার ছেলেদের ক্ষমা করবে।
ওই এলাকার বাসিন্দা নুরুল মোস্তফা জানান, সুমন ও ফরিদ সারাক্ষণ একসঙ্গে যাতায়াত করত। এলাকার কারও সঙ্গে তাদের দু-এক কথাও হয়নি। তাদের দুই ভাই একসাথে খৎনা করানো হয়েছিল; বিয়েও হয়েছে একসঙ্গে। তারা একসাথে মারা যায়। ব্যাপারটা মেনে নিতে কষ্ট হয়।
শেখ ফরিদের রহিম (৪) ও তাসফিয়া নামে দুই সন্তান রয়েছে। সুমনের ছেলের নাম নিষাদ (৭), মেয়ের নাম মারিয়া (৪)।
এদিকে একসঙ্গে দুই সন্তানকে হারিয়ে যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পরিবার-স্বজনরা। প্রয়াত ওই দুই ভাইয়ের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, সন্তানদের হারিয়ে অবিরাম কেঁদেই চলেছেন মা নুরজাহান। একই সঙ্গে নানা কষ্টের কথা তুলে ধরছেন তিনি।