সম্প্রতি গত কয়েকদিন আগেই হার্ট অ্যাটাক করে ভারতের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন ভারতীয় বাংলা ধারাবাহিক নাটকের বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ওই হাসপাতালেই রয়েছেন তিন। তবে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে দিন দিন গুণী এই অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।
প্রতিটা মুহূর্ত কাটে অনিশ্চয়তায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলা শর্মার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাতে অন্তত ১০ বার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেত্রী। গত ১৯ দিন ধরে, অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা চোখের পাতা বন্ধ করতে পারেননি। যে হাসপাতালে তাকে ১ নভেম্বর ভর্তি করা হয়েছিল, তখন থেকেই যুদ্ধ জারি। ঐন্দ্রিলা কেমন আছেন তা জানতে আনন্দবাজার অনলাইন একাধিকবার অভিনেত্রীর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। বেশ কয়েকবার ফোন করার পর শেষ পর্যন্ত ফোন ধরেন তিনি। হতাশা গ্রাস করেছে তাকে। কান্না জমে গেছে গলায়।
শিখা বলেন, “আমি কারও ফোন ধরছি না। আমি হাসপাতালে আছি। আর আমি এখন কোথায় যাব! সবাই সব জানে, আমি কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই। ভালো নেই, আমার মেয়েটা সত্যিই ভালো নেই। আমি ভেবেছিলাম এটি স্বাস্থ্য ভবন থেকে কল ছিল, তাই আমি এটি রিসিভ করেছি। কিন্তু দয়া করে কেউ আমাকে ফোন দিবেন না।” কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন। প্রায় এক মাস টিকে থাকার লড়াইয়ে নেমেছিলেন এই অভিনেত্রী।
সব ধরনের সহযোগিতার পরও তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক তার সঙ্গে রয়েছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে জানা যায়, এই অভিনেত্রীর রক্তচাপ ওঠানামা করছে। সংক্রমণের জন্য শক্তিশালী ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিক ডোজ বৃদ্ধি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলা চোখ খুলছেন না। তার সারা শরীর অবশ। মুখের প্রতিক্রিয়া নেই। এরপর শনিবার সন্ধ্যা থেকে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সন্ধ্যায় আবারো হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন এই অভিনেত্রী। তার হালকা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। তবে এরপর তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাতে পরপর দশবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর থেকেই তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে গুণী এই অভিনেত্রীরই অসুস্থতার খবরে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন তার অগণিত ভক্ত-শুভাকাঙ্খীরাও। ঐন্দ্রিলার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তারা।