দেশের রাজনীতিতে কোথায় যেন শূন্যতার সুর? নির্বাচন নিয়ে একদিকে মাঠ সরগরম এটা ঠিক, অন্যদিকে মামলা-গ্রেফতারে কিছু লোকের পিঠ বাঁচানো দায়। এমন বাস্তবতায় বিগত দুটি প্রশ্নবিদ্ধ জাতীয় নির্বাচনের রেশ কি এবারও টানাতে হবে? ভোটের মাঠে ভোটারদের ভাবনা শোনা যাবে কতটুকু? আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, স/হিংসতা ঠেকাতে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে রাখা হয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার না করলে কি হরতালের দিন গাড়ি চলত? গণগ্রেফতার ছাড়া আমাদের আর কোনো গত্যন্তর ছিল না। যা করা হয়েছে, আমরা ভেবেচিন্তে করেছি।
তবে কি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি? দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে রাজ্জাক বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। এক রাতেই সব নেতার মুক্তির প্রস্তাবেও রাজি হয়নি দলটি।
তিনি বলেন, নির্বাচনে এলে নির্বাচন পেছানো হবে- নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের বারবার বলা হয়েছে। শুধু বিলম্বই করা না, বলা হয়েছিল জেল থেকে সবাইকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের জেলে না দিলে দেশ অচল হয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগ সংবিধান সমুন্নত রেখে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর বলে দাবি করেন এই নেতা। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে আওয়ামী লীগের প্রচেষ্টার কমতি নেই।