সরকার প্রতি ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে যা জনগণের সামনে প্রকাশ পাচ্ছে। সে কারনে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নানা ভাবে দমন, পীড়ন চালাচ্ছে। কিন্তু এ ভাবে তারা বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না এদেশের জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের পতন ঘটাবে। সরকারের পাচার ও দুর্নীতির কারনে দেশে আজ অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়েছে। দেশে গণতন্ত্র চায় এমন কেউ নিরাপদ নয় এই মন্তব্য করে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র চায় এমন কোনো মানুষ দেশে এখন নিরাপদ নয়। গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই মুহূর্তে কারাগারে অন্তরীণ না হলেও গৃহ অন্তরীণ রয়েছেন। গতকালও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যেতে হয়েছে। ডাক্তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার কথা বললেও সরকার অনুমতি দেয়নি, দিচ্ছে না। খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না কারণ এ সরকারের ভয় খালেদা জিয়া বের হলে তাকে সামাল দিতে পারবে না।
মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গত ৯ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে গু/’ম ও খু/’ন হওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে ১৪ পরিবারের এককালীন বৃত্তি ও আর্থিক অনুদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ফেনী, ভোলা-চট্টগ্রাম ও নেত্রকোনা জেলার ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল থেকে গ্রাম পর্যায়ে বিএনপির আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেই আন্দোলনে জনগণ রাজপথে নামতে শুরু করেছে। হ/ত্যা, গু/ম ও নির্যাতনের পরও বিএনপিকে দমাতে ব্যর্থ হওয়া শেখ হাসিনার সরকারের বড় ক্ষোভের জায়গা।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা জেগে উঠছি, সবাইকে জেগে উঠতে হবে, নেতা-কর্মীদের ত্যাগ ও অশ্রু বৃথা যেতে দেয়া হবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।
এ সময় দেশের উন্নয়ন নয়, জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভরিয়েছে সরকার বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, এই অনির্বাচিত পৈশাচিক সরকারকে পরাজিত করে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দল কর্তৃক গু/’ম, খু/’ন ও নির্যাতনের শিকার পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পতন করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কারন দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলছে সরকার বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।