ইউরোপের সেনজেন ভিসার মতো মধ্যপ্রাচ্যেও চালু হচ্ছে নতুন ভিসা ব্যবস্থা। উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা জিসিসি দেশগুলো এই অঞ্চলের জন্য প্রস্তাবিত ‘ইউনিফাইড ট্যুরিজম ভিসা’ বা একক ভিসা ব্যবস্থাকে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দিয়েছে। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাতে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আবুধাবি ভিত্তিক মিডিয়া দ্য ন্যাশনালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ওমানে জিসিসি মন্ত্রীদের ৪০ তম বৈঠকের পরে, সংস্থার মহাসচিব জসিম আল বুদাউই একক ভিসা ব্যবস্থার অনুমোদনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এই ব্যবস্থাটি ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ছয়-দেশের ব্লক জুড়ে কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। একবার এটি চালু হলে, একটি ভিসা ছয়টি জিসিসি দেশে ভ্রমণের অনুমতি দেবে – ইউএই , সৌদি আরব, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত এবং কাতার।
জসিম আল বুদাউই ঘোষণার পরে বলেছিলেন যে ইউনিফাইড গাল্ফ ট্যুরিস্ট ভিসা একটি প্রকল্প যা জিসিসির ছয়টি দেশের মধ্যে বাসিন্দা এবং পর্যটকদের চলাচলের সুবিধার্থে অবদান রাখবে। প্রকল্পটি নিঃসন্দেহে অর্থনৈতিক ও পর্যটন খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
গত মাসে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন তাউক বলেছিলেন যে ইউনিফাইড ভিসা জিসিসির ২০৩০ লক্ষ্য পূরণের অন্যতম প্রধান উপাদান। এর মূল উদ্দেশ্য পর্যটন খাত সম্প্রসারণের মাধ্যমে অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করা।
জানা গেছে, জিসিসি এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশে পর্যটকের সংখ্যা ১২ মিলিয়নে উন্নীত করতে চায়। এইচএসবিসির -এর মতে, দুর্বল বৈশ্বিক অর্থনীতি সত্ত্বেও মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটন খাত ভালো অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে করোনা মহামারীর পর এ খাত থেকে আয় বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জিসিসির একক ভিসা ব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ইউরোপের ২৭টি দেশে ‘শেঞ্জেন ভিসা’ চালু রয়েছে, যার মাধ্যমে কেউ এই গ্রুপের যেকোনো দেশের ভিসা নিয়ে বাকি ২৬টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন এবং যেকোনো কাজের জন্য সর্বোচ্চ ৯০ দিন কোনো দেশে থাকতে পারবেন। . এই ভিসা ইউরোপ ভ্রমণকারীদের জন্য সোনার হরিণের মতো।
শেনজেন দেশগুলো হলো সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, আইসল্যান্ড, ইতালি, এস্তোনিয়া, গ্রীস, চেক প্রজাতন্ত্র, মাল্টা, লুক্সেমবার্গ, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, স্পেন, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া। , লিচেনস্টাইন, সুইডেন, হাঙ্গেরি এবং ক্রোয়েশিয়া।