বলিউডের কিং খান খ্যাত অভিনেতা শাহরুখ খান। বিশ্ব জুড়ে রয়েছে তার পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি তার বড় পুত্র আরিয়ান খান মা/দ/ক কান্ডে গ্রে/ফ/তা/র হয়েছেন। এই ঘটনাকে ঘিরে বলিউডের শীর্ষ আলোচনা-সমালোচনায় পরিনত হয়েছেন তিনি। এমনকি অনেকেই ছেলেকে ঘিরে তার বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন তুলেছে। গ্রে/ফ/তা/রের পর থেকে এখন পর্যন্ত কা/রা/গা/রেই রয়েছেন আরিয়ান খান। কা/রা/গা/রেই চলছে কাউন্সিলিং। এই সময় তিনি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের কাছে এক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মা/দ/ক মামলায় বর্তমানে মুম্বাইয়ের আর্থার রোড কা/রা/গা/রে ব/ন্দী/দ/শা কাটছে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের। নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর নিয়ম অনুযায়ী, মা/দ/ক কাণ্ডে কাউকে গ্রে/প্তা/র করা হলে তার কাউন্সিলিং-এর বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানেরও কাউন্সিলিং চলছে কারা/গা/রে। এরই মধ্যে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের সঙ্গে কথা বলছেন আরিয়ান। সমীর জানিয়েছেন, তার সঙ্গে আলাপচারিতায় ভবিষ্যতে একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে দেশের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শাহরুখপুত্র। এনসিবির সূত্রে জানা গেছে, সমীরকে আরিয়ান কথা দিয়েছেন, তিনি যা করেছেন,তার পুনরাবৃত্তি আর কখনও হবে না। আরিয়ান বলেছেন,আমি এক দিন এমন কিছু করব যাতে আপনি গর্বিত হবেন।
সংবাদমাধ্যমকে সমীর বলেছেন, আমরা প্রতিদিন আরিয়ানের সঙ্গে দু’তিন ঘণ্টা ধরে কথা বলছি। অভিযুক্তদের গীতা, কোরান, বাইবেলের মতো ধর্মীয় বইও দেওয়া হয়েছে কারাগারে। আরিয়ানও একই ধরনের বই সরবরাহ করা হয়েছে। এদিকে জানা গেছে, কারাগারের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারার পাশাপাশি সেখানকার খাবারও মুখে তুলতে পারছেন না আরিয়ান । আর এতেই তার স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে সম্প্রতি তাকে স্পেশাল ব্যারাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কা/রা/গা/রের ভিতরে আরিয়ানের নিরাপত্তাও আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার উপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখছেন পু/লি/শে/র কর্মকর্তারা। একাধিক বার জামিনের আবেদন করেও ছাড়া পাননি আরিয়ান। তার জামিনের পরবর্তী শুনানির দিন ২০ অক্টোবর।
এদিকে পুত্র আরিয়ান খানকে গ্রে/ফ/তা/রে/র পর থেকে নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন বলিউড বাদশাহ। তার সিনেমার শুটিংও বন্ধ রয়েছে। এবং পুত্র আরিয়ানকে মুক্ত করতে আপ্রান ভাবে চেষ্টা করছেন। এমনকি শরনাপন্ন হয়েছেন ভারতের শীর্ষ আইনজীবির।