সম্প্রতি সারা-দেশজুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রীর দাম হু হু করে বাড়তে থাকায় বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ জনগনকে। বিশেষ করে অনেকেই দাবি করেছেন, আগে ১০০ টাকায় সংসার চললেও, এখন এক হাজার টাকাও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরকে। আর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে অন্যতম তেল। তবে তেলের দাম আগামীতে কমবে কিনা, সে ব্যাপারে এবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী। চট্টগ্রাম অর্থনীতির লাইফ লাইন, গেটওয়ে। চট্টগ্রামের ওপর নির্ভর করতে হবে। সেই চট্টগ্রামকে ( Chittagong ) আরও গুরুত্ব দেওয়া দরকার। বন্দরকে আপগ্রেড করতে হবে। আশা করছি এবার ৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে পারব।
তিনি বলেন, মহাসড়কে ১৩ টন বাধা পণ্যের উপর পড়বে। সরকার ব্যবসা করবে না, ব্যবসায় সাহায্য করবে। আমাদের অর্থনীতি তাদের কাছে বিস্ময়। দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের ( government ) পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও অবদান রেখেছেন। তেলের দাম বৃদ্ধির পর বামেরা আমার পদত্যাগ দাবি করে। বাণিজ্যমন্ত্রীর পদের প্রতি আমার লোভ নেই।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের পলো গ্রাউন্ডে চিটাগাং চেম্বার আয়োজিত মাসব্যাপী সিআইটিএফের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যারা পদত্যাগ করতে চায় তারা তেলের দাম কমাতে পারবে কি না। ব্রাজিল আর্জেন্টিনা, মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া তেলের দাম না কমালে কি সম্ভব? ২০২৬ খুব বেশি দূরে নয়, বাংলাদেশের অবস্থান বদলেছে।
তিনি বলেন, চার বছর আগে মন্ত্রী ছিলাম না, দিল্লি গেছি। এক পাকিস্তানি জানতে চাইল, তোমাদের প্রধানমন্ত্রীর হাতে জাদু আছে? কোভিড নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গোষ্ঠী উদ্ধার হয়েছিল। বৃক্ষ তার ফলে পরিচয়। বাংলাদেশ সরকার অ্যাডভান্সড চিন্তা করেছিল।
এদিকে তেলের পাশপাশি চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় সম্প্রতি এটি খুতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য দ্রব্যের দিকেও লক্ষ্য রাখছেন তিনি।