যুক্তরাষ্ট্রের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড পারসন’-এর তালিকায় উঠে এসেছে এক ভারতীয় তরুণীর নাম। ৪ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি শহর থেকে নিখোঁজ হন মায়ুশি ভগত (২৯) নামের ওই তরুণী। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) তাকে খুঁজে বের করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এদিকে, ময়ুশিকে ধরিয়ে দিলে বা তার সম্পর্কে তথ্য জানাতে পারলে তাকে ১০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ লাখ টাকা) দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
জানা যায়, কয়েক বছর আগে পড়ালেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছিলেন ময়ুশি ভাগত। ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল নিউ জার্সি শহর থেকে নিঁখোজ হন তিনি। অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি রঙিন পাজামা ও কালো টি-শার্ট পরে ছিলেন।
২০১৯ এর ১ মে ময়ুশির পরিবার নিউ জার্সি সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে একটি অভিযোগ করে। এরপর সাড়ে চার বছর কেটে গেলেও ওই ছাত্রীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি ও তার নিখোঁজ হওয়ার রহস্যও উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।
সম্প্রতি তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে এফবিআই। জার্সি সিটি পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে জনসাধারণের সহায়তাও চেয়েছে। এফবিআই গত জুলাই মাসে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকায় মায়ুশির নাম যুক্ত করে। সম্প্রতি তাদের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ পেজে, তারা তরুণীর ছবি পোস্ট করে মেয়েটিকে খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারলে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
পুলিশ রেকর্ড বলছে, মায়ুশি ভগত ১৯৯৪ সালে ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি F1 স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। তিনি নিউইয়র্ক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ভর্তি হন।
ময়ূশী ভগতের গায়ের রং গাঢ় বাদামি। উচ্চতা পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চি, যা সাধারণ ভারতীয় মেয়েদের থেকে বেশ খানিকটা লম্বা। তার চোখ বাদামী এবং চুল কালো। তিনি ইংরেজি, হিন্দি ও উর্দুতে কথা বলতে পারেন।
এদিকে, কেনের নাম চার বছর পর এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড পেজে উঠে আসে। আর ভারতীয় ছাত্রকে নিয়ে এত দিন পর কেন এফবিআই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে তা নিয়ে ক্রমশই রহস্য বাড়ছে।