দেশে কোনো একতরফা নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতে গণতন্ত্রের পক্ষে গলাবাজি করে একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছিল।
গণতন্ত্রের স্লোগান দিয়ে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘৃণ্য উদ্দেশ্যে এই ব্যবস্থা বাতিল করে। জনগণের ভোটের অধিকার ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে নৃশং”স ‘ফ্যাসিবাদ’ প্রতিষ্ঠা করেছে। জনগণ তাদের একতরফাভাবে নির্বাচন করার সুযোগ দেবে না। সোমবার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কারাগারে কঠিন পরিস্থিতি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, কারাগারগুলোতে মানবিক বিপর্যয় চলছে। কেরানীগঞ্জ কারাগারে যাদের আটক রাখা হয়েছে, সেসব নেতাকর্মীকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আইনজীবী ও আÍীয়স্বজন জানতে পারছে না। কারাগারের ভেতর প্রতিটি ভবনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে। যে ওয়ার্ডে ১০-১৫ জনের বেশি বন্দি রাখা যায় না সেখানে ৪০-৫০ জন করে রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এমনকি বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে দিনে রাতে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ছোবলে বন্দিদেরও নিস্তার নেই। গণতন্ত্রকামী মানুষকে ক্ষোভের চিতায় পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করছেন শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী)।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব একদলের ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির বিরুদ্ধে ‘আ”গুন সন্ত্রাসের গল্প’ তৈরির অভিযোগ তুলে বলেন, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, বাড়িঘরে হাম”লা অব্যাহত রয়েছে। বিএনপি যখন সুষ্ঠু ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলনে তখনই আওয়ামী সরকারের গু”ম-খু”নের উৎসবের মৌসুম শুরু হয়। তারা বাসে আগুন নিয়ে খেলা শুরু করে। বাসে আগুন দিয়ে গণতান্ত্রিক বিপ্লবী কর্মীদের নামে দোষারোপ। যার অসংখ্য প্রমাণ এখন মানুষের হাতে।
রিজভী বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় গণসমাবেশ করেছে। এ সময় যারা বাসে আগুন দিয়েছে এবং আওয়ামী লীগ অফিসে ছুটে যেতে দেখেছে অনেকে। প্রতিদিনই বিভিন্ন ঘটনায় এমন দৃশ্য দেখা যায়।