২৪ বছর পর বাবাকে খোঁজে পেলেন মেয়ে। যদিও তার বাবা এক জেলাতেই ছিলেন। তবে মেয়ে জানতেনই না যে, তার বাবা জীবিত আছেন। অবশেষে একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বাবার সন্ধান পেলেন তিনি। মেয়ের নাম মোছা. তানিয়া আক্তার (২৪)। তার বাবার নাম মো. আলমগীর হোসেন।
জানা গেছে, বাবা-মেয়ের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটালেন শুক্রবার ‘ভবঘুরে’ ফেসবুক পেজের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ইকবাল আহমেদ। পরে দুই ঘণ্টার কথোপকথনে তারা একে অপরকে জানায় তাদের সারা জীবনের জমে থাকা অগণিত বিষয়।
দুপুরে হবিগঞ্জ শহরের কালীবাড়ি সড়কের সৌদিয়া রেস্টুরেন্টে দেখা হয় তানিয়া ও তার বাবা আলমগীর হোসেনের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ‘ভাব’র অ্যাডমিন ইকবাল আহমেদ।
তানিয়ার বাবা আলমগীর হোসেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার দত্তপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। আর তানিয়া ২৪ বছর কাটিয়েছে পার্শ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলার খান্দুরা গ্রামে তার নানার বাড়িতে।
মেয়ের জন্মের পরপরই তার বাবা আলমগীর হোসেন ও মা আফরোজা বেগমের বিচ্ছেদ হয়। দুজনে নতুন পরিবারে চলে যাওয়ার পর, তানিয়া তার দাদা মাজুম খানের তত্ত্বাবধানে বেড়ে ওঠেন।
তানিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, “বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর আমি প্রায়ই আমার মায়ের সঙ্গে দেখা করতাম। কিন্তু বাবা বেঁচে আছেন কি না তা জানতে পারিনি। আমি নিজে থেকে বাবাকে খুঁজছি। কিন্তু পাইনি।
তানিয়া আরও বলেন, “দুই সপ্তাহ আগে আমি ‘ভবঘুর’ পেজের ইকবাল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে বাবার গাড়িতে বিনামূল্যে চড়ার জন্য একটি পরিচয়পত্র দিয়েছিলাম। সেই সূত্র থেকে সেই ভাই আমার বাবাকে খুঁজে বের করেছেন।”
এখন থেকে বাবার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন কিনা জানতে চাইলে তানিয়া বলেন, আমার স্বামী ও দুই সন্তান রয়েছে। আমি আমার স্বামীর অনুমতি নিয়ে আমার বাবার সাথে দেখা করেছি। আমি ভবিষ্যতে আমার স্বামীর সাথে কথা বলব এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেব। ‘
তানিয়া, যেটি নানার সমর্থনে জমা পাস করেছে, তার নানা এবং স্বামীর কাছে কৃতজ্ঞ।
‘ভবঘুরে’ পেজের অ্যাডমিন ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, “রেস্তোরাঁর কেবিনে বাবা-মেয়ে দুই ঘণ্টা কথাবার্তায় মগ্ন ছিলেন। সেখানে খাওয়া-দাওয়া করেন। একে অপরের দিকে তাকিয়ে কাঁদছিলেন। পরে তানিয়া চলে যান। স্বামীর বাড়ি এবং আলমগীর হোসেন মাধবপুর উপজেলার নিজ বাড়িতে।