বিশ্বব্যাংক সারা বিশ্বব্যাপী ঋণ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ঋণ দিয়ে থাকে যাতে তারা তাদের উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পম্ন করতে পারে। দারিদ্র দূরীকরণই হলো বিশ্বব্যাংকের একমাত্র লক্ষ। সম্প্রতি জানা গেছে বাংলাদেশকে ৩০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগ-১৯ এবং ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলায় শহরাঞ্চলকে প্রস্তুত করতে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। রোববার (৭ আগস্ট) বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এ ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে। সংস্থার পক্ষে ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন এবং ইআরডি সচিব শরিফা খান।
স্থানীয় সরকার বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগ-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্টের আওতায় $৩০০ মিলিয়ন ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের বাস্তবায়নের সময়কাল জানুয়ারি ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।
ঋণটি বিশ্বব্যাংকের স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস (এসডিআর) মুদ্রায় নেওয়া হবে এবং পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ড সহ 30 বছরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। তবে উত্তোলিত ঋণের ওপর বার্ষিক ০.৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১.২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।
অসংগৃহীত তহবিলে সর্বোচ্চ বার্ষিক ০.৫০ শতাংশ হারে প্রতিশ্রুতি ফি প্রদানের বিধান থাকলেও বিশ্বব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি ফি প্রদানের বিষয়টি মওকুফ করে আসছে।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগ-১৯ মোকাবেলায় নগর-ভিত্তিক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, স্বাস্থ্য পরিষেবার নাগাল প্রসারিত করা এবং প্রয়োজনীয় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। এর মধ্যে রয়েছে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন, ড্রেনেজ ইত্যাদি। এর পাশাপাশি জনগণের কাছে ভ্যাকসিন বিতরণ কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং এর মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার নিজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক রাজস্ব ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের প্রায় ১৮৯টি দেশে এই বিশ্বব্যাংকের সদস্য দেশ। এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ কাজে লাগিয়ে অনেক দেশ উন্নত হয়েছে।