চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানকার নির্বাচনী ফলাফল একটু ভিন্নতা পেয়েছে। ঐ নির্বাচনী এলকায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সকল সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্যরা কোনো ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ছাড়াই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) অর্থাৎ ২ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। অরুণ উদয় ত্রিপুরা যিনি রাউজান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দাখিলকৃত মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের পর যদি সবকিছু ঠিকঠাক পাওয়া যায় তবে ১৪টি ইউপিতে যারা প্রার্থী হিসেবে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।
রাউজান উপজেলায় আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে সকল ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সদস্য পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মাত্র একজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। একইভাবে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে সদস্য পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মাত্র একজন প্রার্থী।
অরুণ উদয় ত্রিপুরা বলেন, ২৮ নভেম্বর রাউজান উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের জন্য ১৪ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের ১৪ জন প্রার্থীই মনোনয়ন দাখিল করেছেন। মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের কাগজপত্র ঠিক থাকলে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।
নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন জমা দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন- কদলপুর ইউনিয়নে নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, নোয়াপাড়া ইউনিয়নে বাবুল মিয়া, বিনাজুরীতে ইউনিয়ন রবীন্দ্র লাল চৌধুরী, হলদিয়া ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, ডাবুয়া ইউনিয়নে আবদুর রহমান চৌধুরী লালু, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নে এম সরোয়ার্দ্দি শিকদার, চিকদাইর ইউনিয়নে প্রিয়তোষ চৌধুরী, গহিরা ইউনিয়নে নুরুল আবসার, রাউজান সদর ইউনিয়নে বিএম জসিম উদ্দিন হিরু।
এছাড়াও পাহাড়তলী ইউনিয়নে মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন, বাগোয়ান ইউনিয়নে ভূপেষ বড়ুয়া, পূর্ব গুজরা ইউনিয়নে এম আব্বাস উদ্দিন, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নে সাহাবুদ্দিন আরিফ, উরকিরচর ইউনিয়নে সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল।
একই রকমভাবে ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী এলাকার ১২৮টি ওয়ার্ডেও ইউপি সদস্য পদের প্র্ত্যেকটিতে একজন করেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানা গেছে। নারী সদস্যদের ক্ষেত্রেও একই রকম ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে যেখানে সংরক্ষিত ৪২টি আসনের বিপরীতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৪২ জন। এমনকি এই সকল পদেও সকল প্রার্থীরা এককথায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
অরুণ উদয় ত্রিপুরা এ বিষয়ে আরো বলেছেন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের তারিখ হলো আগামি ৪ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র সঠিক থাকলে সকলেই কোনো ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নির্বাচিত হবেন।