ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের (ডিএজি) পদ হারানো ইমরান আহমেদ ভূঁইয়া সপরিবারে মার্কিন দূতাবাস ছেড়ে বাড়িতে ফিরেছেন। মার্কিন দূতাবাসে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যের কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশ”ঙ্কা করছেন তিনি। তাই তিনি মার্কিন দূতাবাসে যান। তবে তার কোনো ক্ষতি হবে না। এমন ধরনের আশ্বস্ত পাওয়ার পর বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।
ইমরান আহমেদ আরও বলেন, আমার পরিবারের সঙ্গে পুলিশ পাহারা রয়েছে।
নিরাপত্তাহীনতার কারণে শুক্রবার বিকেলে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে দূতাবাসে আশ্রয় নেন ইমরান। এরপর এমরান আহমেদ বলেন, তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই সপরিবারে মার্কিন দূতাবাসে হাজির হন তিনি। বন্ধের দিন হওয়ায় নিরাপত্তাকর্মীরা প্রবেশ করতে দেয়নি। প্রধান ফটকের পাশে একটি কক্ষে তাদের বসতে দেওয়া হয়।
পরে তাদের দূতাবাসের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে। সেখানে তিনি পরিবারের সডস্যদের নিয়ে কিছু সময় অবস্থান করেন। এরপর নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দূতাবাসের ভিসা গেট দিয়ে একটি মাইক্রোবাসে (ঢাকা মেট্রো-জি ২৮-০৪৭৮) লালমাটির বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন ইমরান আহমদ ভূঁইয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এমরান আহমেদ ভূঁইয়া স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দেশে ফিরেছেন।
ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকরা জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে দূতাবাসের বাইরে থেকে একটি গাড়ি আসে। ওই গাড়িতেই সপরিবারে দূতাবাস ত্যাগ করেন এমরান।
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি সংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন এমরান আহম্মদ। শুক্রবার সকালে এমরান আহম্মদকে বরখাস্তের বিষয়টি জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এদিকে নিরাপত্তার জন্য ইমরান সপরিবারে মার্কিন দূতাবাসে যাওয়ার বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই জন্যই তো নাটক সাজিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চায়, বিষয়টি আমি দেখছি।’